Haiti: কারাগারে হামলা চালিয়ে ৪০০০ বন্দি ছিনিয়ে নিল দুর্বৃত্তরা! দেশে জরুরি অবস্থা...
Haiti: কিছুক্ষণের মধ্যেই ধেয়ে আসছে ঝড়? ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে বয়ে যাবে তা। ঝড় বয়ে যাবে পূর্ব মেদিনীপুর ও উত্তর ২৪ পরগনার উপর দিয়ে। সঙ্গে থাকছে বৃষ্টির আশঙ্কাও।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ক্যারিবীয় অঞ্চলের দেশ হাইতিতে জরুরি অবস্থা। অভিযোগ, দেশটির এক কারাগারে সশস্ত্র হামলা চালিয়ে সেখান থেকে প্রায় চার হাজার বন্দি ছিনিয়ে নিয়ে গিয়েছে দুর্বৃত্তরা! সারা দেশে ঘোর বিশৃঙ্খলা। হাইতির রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের প্রধান কারাগারে হামলা চালায় সশস্ত্র দুর্বৃত্তেরা। এর জেরে প্রায় ৪০০০ বন্দির অধিকাংশই পালিয়ে যান বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: Gaza: অপুষ্টিতে ভুগে ১৫ শিশুর মৃত্যু গাজায়! কবে থামবে এই মৃত্যুযজ্ঞ?
সাম্প্রতিক সময়ে দরিদ্রতম দেশ হাইতিতে একাধিক হিংসার ঘটনা ঘটেছে। এক রাজনৈতিক চুক্তির আওতায় হাইতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল এবং অনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরির ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে পদত্যাগ করার কথা ছিল, কিন্তু তা হয়নি। আর তা নিয়েই ক্ষোভ উত্তরোত্তর বেড়েছে। প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরিকে ক্ষমতাচ্যুত করার লক্ষ্যে কাজ করে চলা সশস্ত্র দলগুলি হাইতির রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের প্রায় ৮০ শতাংশ এলাকা নিয়ন্ত্রণ করে।
হিংসার সর্বশেষ এই পর্ব শুরু হয় বৃহস্পতিবার। ওই দিন হাইতিতে কেনিয়ার নেতৃত্বাধীন বহুজাতিক নিরাপত্তা বাহিনী পাঠানোর বিষয়ে আলোচনা করতে হাইতির প্রধানমন্ত্রী নাইরোবি সফরে যান। এর পরই গ্যাং নেতা জিমি চেরিজিয়ার প্রধানমন্ত্রী এরিয়েলকে অপসারণের ডাক দেন। এজন্য সমন্বিত আক্রমণ চালানোর কথাও ঘোষণা করেন তিনি। জিমি চেরিজিয়ার পোর্ট-অ-প্রিন্সের বেশ কয়েকটি গণহত্যার পিছনে রয়েছে বলে মনে করা হয়।
আরও পড়ুন: Maha Shivratri 2024: কেন ফাল্গুন-সোমবারে করা শিবপুজোয় ভক্ত লাভ করেন দেবাদিদেবের অতি বিরল আশিস?
আক্রমণ চালানোর কথা ঘোষণা করার পরে গোলাগুলিতে চার পুলিস কর্মকর্তা নিহত এবং আরও জনাপাঁচেক আহত হন। এর পরই ইউনিয়ন পোর্ট-অ-প্রিন্সের প্রধান ওই কারাগারটির নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে সামরিক বাহিনীকে সাহায্য করতে বলে হাইতি পুলিস। কিন্তু তার আগেই শনিবার গভীর রাতে ওই কারাগার কম্পাউন্ডে হামলা চালানো হয়। হামলার পরে রবিবার কারাগারের দরজা খোলা ছিল। নিরাপত্তায় কেউই ছিল না। এ সময়ে প্রায় অধিকাংশ বন্দিই পালিয়ে যান। পালানোর চেষ্টা করা তিন বন্দি কারাগারের মধ্যেই মৃত অবস্থায় পড়েছিল বলেও জানা গিয়েছে। এইসব কারাবন্দির মধ্যে হাইতির প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মোয়েসের হত্যাকাণ্ডে জড়িত গ্যাং সদস্যরাও ছিলেন।