নিজস্ব প্রতিবেদন: বাংলাদেশের আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে ইতিমধ্যেই মনোনয়ন পত্র কিনেছেন সে দেশের একাধিক জনপ্রিয় অভিনেতা এবং প্রথম সারির নেতা-নেতৃ। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে বগুড়া থেকে মনোনয়ন পত্র কিনেছেন আশরাফুল আলম সাঈদ। আর তাই নিয়েই বাংলাদেশের প্রায় সব সংবাদ মাধ্যমে এবং সামাজিক মাধ্যমে তুমুল হইচই পড়ে গিয়েছে। এটাই তো স্বাভাবিক! বাংলাদেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে ভারতেও আশরাফুল আলম সাঈদের ফ্যান ফলোইং তো কিছু কম নয়! তাঁর জন্য পাগল দেশের হাজার হাজার সুন্দরি যুবতী। তাঁর ভয়ে কাবু দেশের কুখ্যাত দুষ্কৃতিরা। আশরাফুল আলম সাঈদ নামের মানুষটিকে সবাই এক ডাকে চেনে ‘হিরো আলম’ নামেই।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় কৌতুকাভিনেতা, মডেল এ বার নামতে চলেছেন দেশের রাজনীতির ময়দানে। জানা গিয়েছে, সোমবার বিকেলে জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান গোলাম মহম্মদ কাদেরের হাত থেকে বগুড়া-৪-এ প্রতিদ্বন্দিতা করার জন্য মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন তিনি।


বগুড়ার এরুলিয়া গ্রামে আশরাফুল আলম সাঈদ বা হিরো আলমের ছোটবেলায় নাম স্বপন তিওয়ারি। জন্ম ও বেড়ে ওঠা সেখানেই। স্বপন যখন খুব ছোট, তখনই অর্থাভাবের কারণে আলমের বাবা-মা গ্রামের অন্য এক পরিবারের হাতে ছেলেকে লালন-পালনের দায়িত্ব তুলে দিতে বাধ্য হন। আলমের পালকপিতা আব্দুর রজ্জাকও অবশ্য খুব ধনী ছিলেন না। ক্লাস সেভেন পর্যন্ত পড়ার পরে আর আলমের পড়ার খরচ জোগাতে পারেননি আব্দুর। জীবিকা নির্বাহের তাগিদে সিনেমা, গানের সিডির ব্যবসা শুরু করেন তিনি। তখন তিনি স্বপন তিওয়ারি থেকে হয়ে গিয়েছেন আশরাফুল আলম সাঈদ। নিজের গ্রামেই তার পর শুরু করেন ডিশ টিভির ব্যবসা। এরও আগে যখন তিনি সিডির ব্যবসা করতেন, তখনই ভিডিওয় মডেলদের কার্যকলাপ দেখে মাথায় ঢোকে মডেলিং-এর স্বপ্ন। কিন্তু মডেলিংয়ের শর্ত বা মাপকাঠি অনুযায়ী তিনি যে সহজে মডেলিং দুনিয়ায় জায়গা পাবেন না, তা বুঝে গিয়েছিলেন আলম। তাই আর্থিক স্বচ্ছলতা আসার পরে নিজেই পয়সা খরচ করে কৌতুক ভিডিও তৈরি করে ফেসবুক আর ইউটিউবে ছড়িয়ে দেওয়া শুরু করেন তিনি। আর আজ ফেসবুক আর ইউটিউবে তাঁর লক্ষ লক্ষ ফ্যান ফলোয়ার।


বগুড়া-৪-এ প্রতিদ্বন্দিতা করার জন্য মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করে সে দেশের সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে হিরো আলম বলেন, “আমি নিজে গরিব, আমি গরিবের কষ্ট বুঝি। মানুষের উপকারে আসার চেষ্টা করি সব সময়। অসংখ্য মানুষের ভালোবাসা পেয়ে আমি আজকের হিরো আলম হয়েছি।” এরই সঙ্গে তিনি বলেন, নিজের জনপ্রিয়তা দিয়েই এমপি হতে চাই। আমি বগুড়ার সন্তান। তাই বগুড়া নিয়েই আমার স্বপ্ন বেশি। আমি এলাকার মানুষের সঙ্গে থাকতে চাই।”