জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বাংলাদেশের পরিস্থিতির কি ক্রমশই অবনতি হচ্ছে? কখনও সেখানে দুর্গাপুজো নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন উঠছে, কখনও সেখানে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে, কখনও আবার সরাসরি হিন্দুদের নিরাপদহীনতা নিয়েই প্রশ্ন। এবং এই প্রশ্নে এবার অবরোধও শুরু বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার শাহবাগ চত্বরে।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: Kolkata Doctor Rape And Murder Case: ধরনাস্থলেই সরাসরি মমতা, আন্দোলনকারীরা বললেন, স্বাগত! এবং...


সারা দেশে হিন্দুদের উপর নির্যাতন, মঠ-মন্দির, ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ, জায়গা-জমি দখল-সহ নানা অত্যাচারে জর্জরিত বাংলাদেশের হিন্দুরা। এসবের প্রতিবাদে এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে পেশ করা ৮ দফা দাবির দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে ঢাকার শাহবাগ মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। এর জেরে শাহবাগ এলাকায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।


পূর্বঘোষণা অনুযায়ী, হিন্দুদের সব সংগঠনকে সঙ্গে নিয়ে বিকেল ৩টে থেকে শাহবাগ অবরোধ করে 'বাংলাদেশ হিন্দু জাগরণ মঞ্চ'। অবরোধ চলাকালে দাবির পক্ষে নানা স্লোগান দেয় তারা। এ সময়ে হিন্দু জাগরণ মঞ্চের সমন্বয়ক প্রদীপকান্তি দে বলেন, সরকার যদি দু'কোটি হিন্দু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা দিতে না পারেন, তবে বলে দিন, আমরা রাষ্ট্রসংঘের কাছে নিরাপত্তা চাইব। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে দাবি করছি, আমাদের এই দাবির বাস্তবায়ন করতে হবে। না হলে আগামী দিনে 'বাংলাদেশ হিন্দু জাগরণ মঞ্চ' সব সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করে সকলে মিলে একত্রিত হয়ে কঠোর কর্মসূচি নিতে বাধ্য হবে।


অনতিবিলম্বে ৮ দফা দাবি বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশ সনাতন পার্টির সাধারণ সম্পাদক সুমনকুমার রায় বলেন, গত ৫ থেকে ২০ অগাস্ট পর্যন্ত সব হামলার সুষ্ঠু বিচারের জন্য বিচার বিভাগীয় তদন্ত করতে হবে। ঠাকুরগাঁও, চট্টগ্রাম-সহ সাম্প্রতিক সময়ে সংখ্যালঘুদের উপরে যেসব হামলা হয়েছে সেসবের বিচার করতে হবে। আসন্ন দুর্গাপুজোয় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিতে হবে। প্রধান উপদেষ্টার কাছে উত্থাপিত হিন্দুদের ৮ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে-- সরকার পতনের পর সংখ্যালঘুদের উপর হামলার ঘটনাগুলির দ্রুত বিচার। তাঁরা চান, ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে হামলার ঘটনাগুলির বিচার হোক।


পাশাপাশি, সাম্প্রদায়িক হিংসায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক, তাঁদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা, সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠন, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকে হিন্দু ফাউন্ডেশনে উন্নীত করা, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকেও ফাউন্ডেশনে উন্নীত করা, দেবোত্তর সম্পত্তি পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণ আইন প্রণয়ন, অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন এবং দুর্গাপূজায় ছুটি পাঁচ দিন করা!


আরও পড়ুন: Kolkata Doctor Rape And Murder Case: অভিশপ্ত সেই রাতে সঞ্জয়ের মোবাইলে কার ফোন এসেছিল? গাঢ় রহস্যের উপর ঘন অন্ধকার...


এখন দেখা যাক, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার বিষয়টিকে কীভাবে দেখে, এ বিষয়ে কী করে। অন্তর্বর্তী সরকারের মুখ তথা নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মুহাম্মদ ইউনূস হিন্দুদের বিষয়টিকে কীভাবে বিচার করেন, তা নিয়ে কী সিদ্ধান্ত নেন, হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে কী করেন তিনি, দুর্গাপুজোর আবহে বাংলাদেশের সামাজিক আবহকেই-বা তিনি কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করেন।  


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)