2022 AP7: ধ্বংস কি ক্ষণিকের অপেক্ষা? পৃথিবীর কক্ষপথ অতিক্রম করতে চলেছে নব-আবিষ্কৃত দৈত্যাকার উল্কা...
2022 AP7: গত ১ দশকে আবিষ্কার হওয়া মহাজাগতিক বস্তুগুলির মধ্যে এই `২০২২ এপি ৭` সব চেয়ে বড় আকারের। ফলে একে নিয়ে ভয় থাকছেই। পৃথিবীর জন্য এটি বয়ে আনতে পারে বিপদ আশঙ্কা বিজ্ঞানীদেরও।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ধ্বংস যেন ক্ষণিকের ব্যাপার। একবার পৃথিবীর সঙ্গে ধাক্কা লাগলেই সর্বনাশ। মানুষ সব সময়েই মহাকাশের দিকে নজর রেখে বসে আছে। সেই নজর-রাখা থেকেই উঠে আসে নতুন নতুন খবর। সম্প্রতি তেমনই জানা গেল। জানা গেল '২০২২ এপি৭' নামের বড় মাপের একটি উল্কা ধেয়ে আসতে পারে পৃথিবীর দিকে। বস্তুটির অস্তিত্বের কথা ঘোষণা করল আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানীদের একটি দল। তাঁরা দেখিয়েছেন, পৃথিবীর কক্ষপথকে অতিক্রম করছে উল্কাটির কক্ষপথ। যার জেরে ভবিষ্যতে পৃথিবীর সঙ্গে উল্কাটির সংঘর্ষের আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। যদিও তেমনটা ঘটলে, তা সুদূর ভবিষ্যতেই ঘটবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা, এই মুহূর্তে পৃথিবীবাসীর এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার খুব একটা কারণ কিছু নেই, তবুও ভয় পাচ্ছেন মানুষ।
আরও পড়ুন: Tanzania: ৩৯ জল যাত্রী নিয়ে প্লেন এসে পড়ল লেকে, ডুবে গেল প্রায় পুরোটাই...
'২০২২ এপি ৭' নামের উল্কাটি প্রায় ১.৫ কিলোমিটার চওড়া। চিলিতে রয়েছে ভিক্টর এম. ব্লাঙ্কো নামের এক টেলিস্কোপ। সেটির মাধ্যমেই চলছিল এই অনুসন্ধানপর্ব। সেই অনুসন্ধান-পর্বেই '২০২২ এপি৭'-এর পাশাপাশি আরও দু’টি উল্কার সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। সে দুটিও পৃথিবীর নিকটবর্তী অঞ্চলেরই বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। তবে পৃথিবীর পক্ষে এই দু’টির কোনওটিই 'ক্ষতিকর নয়' বলে জানা গিয়েছে।
তবে, আতঙ্কের কেন্দ্রবিন্দুতে '২০২২ এপি ৭'। 'দ্য অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল জার্নালে' এ সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। রিপোর্টের মূল বক্তব্য-- ২০২২ এপি ৭ পৃথিবীর কক্ষপথের উপর দিয়ে যাবে। যে কারণে পৃথিবীর কাছে তা শঙ্কার। মহাকাশে প্রদক্ষিণরত আর পাঁচটা বস্তুর মতো ভবিষ্যতে বিভিন্ন গ্রহের মাধ্যাকর্ষণের প্রভাবে এর গতিপথে বদল আসা অস্বাভাবিক নয়। ফলে আগামী দিনে কী হতে পারে, তা নিয়ে এখনই কিছু বলা মুশকিল।
জানা গিয়েছে, বর্তমান কক্ষপথের ধারা অনুযায়ী, সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে পাঁচ বছর লাগে উল্কাটির। বর্তমান পরিস্থিতিতে পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে এলেও পৃথিবী থেকে উল্কাটির দূরত্ব থাকবে কয়েক লক্ষ কিলোমিটার। ফলে ভয়ের কোনও কারণ নেই। যদি কোনও কারণে পৃথিবীর সঙ্গে উল্কাটির ধাক্কা লাগে তা হলে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে যে ধুলো ছড়িয়ে পড়বে তার প্রভাবে বিলুপ্তির পথে চলে যেতে পারে একাধিক প্রজাতি। যদিও আগামী কয়েকশো বছরের মধ্যে তেমন ঘটার আশঙ্কা প্রায় নেই বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।