নিজস্ব প্রতিবেদন— সারা বিশ্বে ২০০টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। মৃত্যু হয়েছে ২৪ হাজারেরও বেশি মানুষের। দ্রুত ছড়াচ্ছে মারণণ ভাইরাস। বিজ্ঞানীরা এখনও এই ভাইরাসের প্রকোপ কমানোর ওষুধ আবিষ্কার করতে পারেননি। তবে বিজ্ঞানীদের একটি দল দাবি করেছে, গ্রীষ্মকাল এলে এই ভাইরাসের প্রকোপ কিছুটা হলেও কমতে পারে। জ্বর, সর্দি, কাশি, হাঁচি বা গলা ও শরীরে ব্যথা। এই সব উপসর্গ নিয়েই আক্রান্তরা টেস্ট করাতে যাচ্ছেন। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

চিকিত্সকরা বলছেন, একেবারে শেষ পর্যায়ে এই ভাইরাস ফুসফুসে আঘাত হানে। আর তখনই শুরু হয় ভয়ঙ্কর শ্বাসকষ্ট। তাতেই মারা যাচ্ছেন বহু আক্রান্ত। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, প্রায় ৮০ শতাংশ আক্রান্তের শরীরে করোনার কয়েকটি লক্ষণ প্রকাশ পায়। অনেকের ক্ষেত্রে কোনও উপসর্গ নাও দেখা যেতে পারে। একেবারে শেষ পর্যায় এসে শুরু হয় শ্বাসকষ্ট। মাত্র ২০ শতাংশ রোগীকে হাসপাতালে নেওয়ার প্রয়োজন হয়। এদের মধ্যে ১৪ শতাংশের অবস্থা হতে পারে গুরুতর। সংকটপূর্ণ অবস্থা হতে পারে ছয় শতাংশ রোগীর। ফুসফুসের কার্যক্ষমতা কার্যত হারিয়ে ফেলেন তাঁরা।


আরও পড়ুন— স্ত্রীকে ঠকিয়ে বান্ধবীকে নিয়ে ইতালি ঘুরতে গিয়েছিলেন ব্যবসায়ী, ফিরলেন 'বিপদ' নিয়ে



মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি হাসপাতালের বক্ষ সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. কেইথ মর্টম্যান একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করেছেন সম্প্রতি। সেই থ্রিডি ভিডিয়োতে তিনি দেখিয়েছেন, করোনায় আক্রান্ত রোগীর ফুসফুসের অবস্থা কতটা করুণ হয়ে যায়। পঞ্চাশোর্ধ্ব এক ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তাঁর ফুসফুসের ৩৬০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে ছবি তোলা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার কয়েকদিন আগেও ওই ব্যক্তির ফুসফুস সঠিকভাবে কাজ করত। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর তাঁকে হাসপাতালে আইসোলেশনে রাখা হয়। সেখানে তার সামান্য জ্বর, সর্দি, কাশি ও একটু শ্বাসকষ্টের উপসর্গ দেখা গিয়েছিল। কিন্তু কয়েকদিনের মধ্যে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। এর পর ভেন্টিলেটরের মাধ্যমে কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু তার পরও সেই ব্যক্তির অবস্থার অবনতি হতে থাকে। ডা. মর্টম্যান দেখিয়েছেন, করোনাভাইরাস কীভাবে তাঁর ফুসফুসের বিরাট অংশজুড়ে বিস্তার করেছে। সবুজ (হালকা হলদেটে) ঘাসের মতো দেখতে টিস্যু ফুসফুসের আসল কোষগুলিকে ধ্বংস করছে।