জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: পড়ে রয়েছে ২৩০টি তিমি! অধিকাংশই মৃত, কিছু জীবিত বলেই মনে করা হচ্ছে। তাসমানিয়ার পশ্চিম উপকূলের এই দৃশ্য। সপ্তাহদুয়েক আগেই ১৪টি স্পার্ম হোয়েলস তাসমানিয়ার উত্তরপশ্চিম উপকূলে উঠে এসেছিল। তার পরে আবার এই দৃশ্য। যা নিয়ে প্রকৃতিবিদ পরিবেশবিদদের মধ্যে সাড়া পড়ে গিয়েছে। যা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যেও রীতিমতো চর্চা চলছে। 'ডিপার্টমেন্ট অফ ন্যাচারাল রিসোর্সেস অ্যান্ড এনভিরনমেন্ট তাসমানিয়া'র তরফে বলা হয়েছে, সমুদ্র সংরক্ষক যাঁরা তাঁরা এখন যে যে সমুদ্র উপকূল জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে বিপথগামী এই বহু সংখ্যক তিমি, সেখানে-সেখানে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। সেই ভাবেই তাঁরা তাসমানিয়ার ম্যাককুয়্যারি হারবারে পৌঁছে গিয়েছেন।  তাঁরাই মনে করেছেন, হঠাৎ করে সৈকতে উঠে-আসা এই তিমিদের মধ্যে অনেকগুলিই বেঁচে থাকতে পারে। তাঁরা যে বিপুল কর্মভার গ্রহণ করেছেন সেখানে স্থানীয় সাধারণ মানুষেরও সহায়তা জরুরি। ফলে, তাঁদের কাছেও আবেদন পৌঁছচ্ছে। যাতে তাঁরাও বিজ্ঞানী ও পরিবেশকর্মীদের সঙ্গে এই উদ্ধারকাজে সামিল হতে পারে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: Unseen photo of Queen Elizabeth: রানির এই ছবিটি এর আগে বিশ্বে কেউ কোনও দিন কোথাও দেখেননি...


উদ্ধারকাজে আহ্বান জানানোর পাশাপাশি, সাধারণ মানুষের কাছে এই বার্তাও গেছে যে, কোনও ভাবেই যেন সৈকতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা তিমিদের বিরক্ত করা না হয়। যেগুলি এখনও জীবিত আছে, তাদের তো নয়ই, এমনকি, যেগুলি ইতিমধ্যেই মৃত সেগুলি নিয়েও যেন সাধারণ মানুষ কিছু না করে। ওয়েস্ট কোস্ট কাউন্সিলের জেনারেল ম্যানেজার ডেভিড মিডসন বলেছেন, এই তিমিগুলি প্রোটেক্টেড স্পিসিসের অন্তর্গত। ফলে এদের কোনও ভাবেই বিরক্ত করা যাবে না।


কিন্তু কেন এ ধরনের ঘটনা বারবার ঘটছে? কেন তিমিরা সমুদ্র ছেড়ে বার বার উঠে আসছে সৈকতে? এ নিয়ে কী বলছেন বিজ্ঞানীরা?


গ্রিফিথ বিশ্বিদ্যালয়ের সমুদ্র বিজ্ঞানী ওলাফ মেইনেকে এই ঘটনাকে খুবই অস্বাভাবিক বলে চিহ্নিত করেছেন। তিনি বলেছেন, সমুদ্রের জল ক্রমশ গরম হয়ে উঠছে, এর ফলে তিমি বা অন্যান্য  সামুদ্রিক প্রাণীর আবাসস্থল হিসেবে সমুদ্র ক্রমশ এক প্রতিকূল স্থান হয়ে দাঁড়াচ্ছে। কেননা জলের উষ্ণতার তারতম্যের জন্য সমুদ্রস্রোতেও ঘটছে বৈপরীত্য। এর উপর রয়েছে খাদ্যাভাব। সমুদ্রে পর্যাপ্ত খাদ্য না পেয়ে সামুদ্রিক প্রাণীরা তীরে উঠে পড়ছে। অর্থাৎ, মূলত খাদ্য ও বাসস্থানের জন্যই এই অবস্থা দেখা যাচ্ছে বলে তাঁর মত।


অস্ট্রেলিয়ার পরিবেশ ও জলসম্পদ মন্ত্রী ট্যানিয়া প্লিবারসেক এই ঘটনার জন্য খুবই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি তিনি যাঁরা আপৎকালীন ভিত্তিতে এই জলবিচ্ছিন্ন তিমিদের উদ্ধারকাজে সামিল হয়েছেন তাঁদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছেন। 


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)