ওয়েব ডেস্ক: ব্রিটিশ পার্লামেন্ট নির্বাচনে অপ্রত্যাশিত ভরাডুবি হল কনজারভেটিভ পার্টির। সরকার গড়তে বাকিংহাম প্রাসাদের বিশেষ অনুমতির প্রয়োজন টেরেসা মে-র। পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা জোগাড় করতে এবার উত্তর আয়ারল্যান্ডের ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়ানিস্ট পার্টির সমর্থন-প্রত্যাশী কনজারভেটিভ পার্টি। লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিনের দাবি, ভোটের ফলের জেরে এখনই পদত্যাগ করা উচিত মে-র।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


বুমেরাং হয়ে গেল টেরেসা মে-র সিদ্ধান্ত। ভোট এগিয়ে এনে বাজিমাত করার চেষ্টা জলে গেল। ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছতে পারল না কনজারভেটিভ পার্টি। ৩১৮তেই থেমে গেল টেরেসা মে-র দল।



পার্লামেন্টের হাউস অফ কমন্সে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে দরকার ৩২৬টি আসন। সে তুলনায় ৮টি আসন আগেই থেমে গিয়েছে কনজারভেটিভ পার্টি। জেরেনি বার্নার্ড করবিনের লেবার পার্টি পেয়েছে ২৬১টি আসন। স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি পেয়েছে ৩৫টি। টিম ফ্যারনের লিবারেল ডেমোক্র্যাট পেয়েছে ১২টি। ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়ানিস্ট পার্টি পেয়েছে ১০টি আসন।   



লেবার পার্টির আসন বাড়লেও ম্যাজিক ফিগার থেকে অনেকটাই দূরে তারা। ত্রিশঙ্কু ব্রিটিশ পার্লামেন্টের দখল নিতে অবশ্য তড়িঘড়ি নেমে পড়েন মে। উত্তর আয়ারল্যান্ডের ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়ানিস্ট পার্টি তাদের বন্ধু এবং তাদের সমর্থন নিয়েই সরকার গড়বেন তিনি। এই দাবি নিয়ে রানি এলিজাবেথের সঙ্গে দেখা করে সরকার গড়ার অনুমতি চান টেরেসা মে।



ব্রেক্সিটের পরে দেশের স্থিতিশীলতা মজবুত করার কথা বলে গত এপ্রিলে তড়িঘড়ি ভোট এগিয়ে আনার কথা ঘোষণা করেছিলেন মে। ভোটে হারের পর অবশ্য সেই দাবি থেকে সরে আসতে নারাজ তিনি।



বৈদ্যুতিন ভোটযন্ত্র না থাকায় এখনও ব্যালট পেপারেই ভোট হয় ব্রিটেনে। এবারে ভোট দেন প্রায় ৪ কোটি ৭০ লক্ষ মানুষ। তাঁদের মধ্যে প্রায় ১৫ লক্ষ ভারতীয়। (আরও পড়ুন- রাজত্বকালেই রাজ মুকুট হারালেন জাপান সম্রাট আকিহিতো)