নিজস্ব প্রতিবেদন:  ভারত যখন নিজেই অর্থনীতির বৃদ্ধির হার ৫ শতাংশে বেঁধে দিয়েছে। সেখানে ৬-এর উপর পূর্বাভাস দিয়ে আন্তজার্তিক অর্থ ভাণ্ডার কতটা ভরসা জিইয়ে রাখতে পারে তা নিয়ে প্রশ্ন ছিলই। অর্থনীতির কোনও উন্নতির লক্ষণ না পেয়ে শেষমেশ ওই সংস্থাও বৃদ্ধির অনুমানে কাঁচি চালালো। আগেই কাঁটছাঁট করে ৬.১ শতাংশ বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছিল আইএমএফ (IMF)। এ বার এক ধাক্কায় ১.৩ শতাংশ কমিয়ে চলতি বছরে ভারতের অর্থনীতি বৃদ্ধির পূর্বাভাস  দিল ৪.৮ শতাংশ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ভারতের বৃদ্ধির হারে ধাক্কা লাগলে, তার প্রভাব বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রত্যক্ষ ভাবে পড়বে মেনে নিচ্ছেন আইএমএফ- প্রধান অর্থনীতিবিদ গীতা গোপিনাথ। তাঁর কথায়, ভারতের অর্থনীতির বৃদ্ধির পূর্বাভাস পরিমার্জনের পাশাপাশি বিশ্বের অর্থনীতির বৃদ্ধিও ২.৯ শতাংশ কমানো হয়েছে। এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী করা হয়েছে ভারতে উল্লেখযোগ্যভাবে চাহিদা কমে যাওয়া, ব্যাঙ্ক নয় এমন আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির নগদ সঙ্কট এবং ঋণের পাহাড়।


আরও পড়ুন- আসন বণ্টন- সিএএ নিয়ে বিরোধ, দিল্লি নির্বাচনে এনডিএর সঙ্গে লড়াইয়ে নেই অকালি দল


চলতি অর্থবর্ষে প্রত্যেক ত্রৈমাসিকে জিডিপির বৃদ্ধি অধোগতি হয়েছে। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের দাওয়াই অব্যাহত থাকলেও, সেই ফল দেখা যায়নি। উপরন্তু জিডিপি বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে ৫ শতাংশে নিয়ে আসা হয়েছে। গত অর্থবর্ষে যেখানে জিডিপি ছিল ৬.৮ শতাংশ। তবে, এই পরিস্থিতিকে মন্দা বলতে নারাজ মোদী সরকার। বিশ্বে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক অস্থিরতার জেরেই প্রায় সব দেশেই একই হাল। ভারত তার বাইরে নয় বলে দাবি শাসক দলের।