নিজস্ব প্রতিবেদন: ভারতের অনড় অবস্থানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাশ্মীর ইস্যুতে মধ্যস্থতার স্বপ্ন ভাঙতেই হুঙ্কার ছাড়লেন ইমরান খান। ভারতকে পরমাণু যুদ্ধের হুমকি দিয়ে বললেন, সেক্ষেত্রে জয়ী হবে না কেউই। একই সঙ্গে ফের একবার বিশ্বের শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলিকে তাঁদের দায়িত্ব স্মরণ করানোর চেষ্টা করলেন তিনি। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সোমবার কাশ্মীর নিয়ে জাতির উদ্দেশে এক ভাষণে  পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেন, 'কাশ্মীর বিবাদ নিয়ে যত দূর যেতে হয় যাবে সরকার। মনে রাখা উচিত সেক্ষেত্রে ২টি রাষ্ট্রই পরমাণু শক্তিধর। আর পরমাণু যুদ্ধে জয়ী হয় না কোনও পক্ষই। সেক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক স্তরেও এর প্রভাব পড়বে। তাই বিশ্বের শক্তিশালী দেশগুলির এব্যাপারে ব্যাপক দায়িত্ব রয়েছে। তবে তারা আমাদের সঙ্গে থাকুক বা না থাকুক কাশ্মীর নিয়ে সম্ভাব্য সব কিছু করবে পাকিস্তান।'



এদিন ইমরান বলেন, কাশ্মীর নিয়ে এবার এসপার ওসপার করার সময় এসেছে। তাঁর দাবি, কাশ্মীর নিয়ে আলোচনার দরজা খুলতে সমস্ত চেষ্টা করেছে পাকিস্তান। কিন্তু ভারতের দিক থেকে সাড়া মেলেনি। ক্রমাগত পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ায় অভিযুক্ত করেছে ভারত। 


ক্ষমতায় আসার পর তিনি বারবার ভারতের সঙ্গে আলোচনা শুরু করতে চেয়েছেন বলে দাবি করেন ইমরান। কিন্তু প্রতিবারই কোনও না কোনও সমস্যায় তা আটকে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। ইমরান বলেন, ভারতে লোকসভা নির্বাচনের পর নতুন সরকারের সঙ্গে আলোচনা শুরু করব বলে আশাবাদী ছিলাম। কিন্তু সেই আশাতেও জল ঢেলে কাশ্মীরের বিশেষাধিকার প্রত্যাহার করে নিয়েছে ভারত। 


শ্রমিক সংগঠনের নামে তোলাবাজি রুখতে কড়া পদক্ষেপের পথে রাজ্য বিজেপি


বলে রাখি, কাশ্মীরের বিশেষাধিকার প্রত্যাহারের পর থেকে বিশ্বের নানা দেশের কাছ থেকে সমর্থন আদায়ের মরিয়া চেষ্টা করেছে পাকিস্তান। পশ্চিমি বিশ্ব তো বটেই, কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের পাশে দাঁড়ায়নি মুসলিম রাষ্ট্রগুলিও। ওদিকে অর্থনীতির দিক থেকে দেউলিয়া অবস্থান পাকিস্তানের। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসবাদ দমনের নামে অনুদান বন্ধ করে দেওয়ায় বেহাল সরকারি ভাঁড়ার। এই পরিস্থিতিতে কাশ্মীর দখলের জিগির তুলে পাকিস্তান যুদ্ধে গেলে তা আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।