নিজস্ব প্রতিবেদন: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টাকায় জেহাদিদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে পাকিস্তান। স্বীকার করে নিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তাঁর অভিমত, আফগানিস্তানে রুশদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে না থেকে নিরপেক্ষ অবস্থান নেওয়া উচিত ছিল পাকিস্তানের। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রাশিয়ার একটি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেন,''১৯৮০-র দশকে আফগানিস্তানে রুশদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য জেহাদিদের প্রশিক্ষণ দিয়েছিল পাকিস্তান। পাকিস্তান এমনভাবে প্রশিক্ষণ দিচ্ছিল, যাতে রুশ সেনা আফগানিস্তান দখল করলে জেহাদের ডাক দিতে পারেন মুজাহিদিনরা। তাদের প্রশিক্ষণের জন্য অর্থ দিয়েছিল মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ। কিন্তু এক দশক পর ওই জেহাদিদেরই সন্ত্রাসবাদী ঘোষণা করে দিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।''         



 রাশিয়া-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঠান্ডা যুদ্ধে পাকিস্তানের নাক গলানো উচিত ছিল না বলে মত ইমরানের। তাঁর কথায়,''আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি পাকিস্তানের নিরপেক্ষ অবস্থা নেওয়া উচিত ছিল। ৭০,০০০ মানুষকে হারিয়েছি আমরা। ১০০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। শেষে আমেরিকানদের কাছে শুনতে হল, আফগানিস্তানে আমরা কিছুই করিনি।''                  


কূটনৈতিক মহল মনে করছে, পাকিস্তানের ভূখণ্ড সন্ত্রাসী কার্যকলাপে ব্যবহার হয়ে আসছে, তা পরোক্ষে স্বীকার করে নিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী। পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী এজাজ আহমেদও স্বীকার করে নিয়েছেন, কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তান আন্তর্জাতিক মহলে জোর ধাক্কা খেয়েছে। এর পিছনে দায়ী তাদের ভাবমূর্তি। পাকিস্তানকে দায়িত্বপূর্ণ দেশের চোখে দেখা হয় না। প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে কাঠগড়ায় তুলেছেন এজাজ আহমেদ। তাঁর মতে, আন্তর্জাতিকস্তরে কেউ আমাদের কথায় বিশ্বাস করেনি। আমরা বলেছিলাম, জম্মু-কাশ্মীরে কারফিউ জারি করেছে ভারত। সেখানকার মানুষ ওষুধও পাচ্ছেন না। কিন্তু কেউ বিশ্বাস করল না। ভারতের উপরে ভরসা করল তারা। মোল্লাতন্ত্রই ধ্বংস করেছে দেশকে। পাকিস্তানের ভাবমূর্তি খারাপ করেছে। লোকেরা ভাবে, আমরা দায়িত্বপূর্ণ দেশ নই। পাকিস্তানের আত্মমন্থন করা উচিত বলেও মনে করেন পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী।     


আরও পড়ুন- রক্ষাকবচ উঠতেই রাজীবের বাড়িতে হানা সিবিআই-র, ছুটিতে প্রাক্তন পুলিস কমিশনার