নিজস্ব প্রতিবেদন: স্বভাবসিদ্ধ পোশাক তাঁর। সব ঋতুতেই সালওয়ার কামিজ। মঙ্গলবার পাক জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে অংশগ্রহণ করার সময় এই পোশাকেই ঢুকলেন ভাবী প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এরপরই সংসদের রীতি অনুযায়ী নতুন সাংসদদের ছবি তোলার প্রথা রয়েছে। আর এই ছবি তুলতে গিয়েই বিপত্তি বাধল ৬ ফুটের হ্যান্ডসাম প্রাক্তন ক্রিকেটারের। কেন?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- ভয়াবহ ভূমিকম্পের জের, ১০ ইঞ্চি উঠে এল ইন্দোনেশিয়া


যিনি ছবি তুলবেন, তাঁর মোটেও পছন্দ হয়নি ইমরানের পোশাকখানি। সংসদের ছবি বলে কথা। জহর কোট বা জ্যাকেট না হলে চলে! সংসদের এই চিত্রগ্রাহকের আবদার ফেরালেন না ইমরান। তবে, তিনি এমন কান্ড করে বসলেন যা দেখে বিস্মিত খোদ চিত্রগ্রাহকই। বরাবরের স্মার্ট ইমরান এগিয়ে এসে চিত্রগ্রাহকের পরা ওয়েস্ট কোর্টটাই ধার চাইলেন। ভাবী প্রধানমন্ত্রীর এমন আবদার শুনে প্রথমে অবাক হয়ে যান চিত্রগ্রাহক। পরে অবশ্য কোটটি ইমরানকে শুধু দিয়েই ক্ষান্ত হননি, পরাতেও সাহায্য করেছেন তিনি। আর এই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই বিশ্ব জুড়ে তা রীতিমতো ভাইরাল।



ইমরান খানের এমন ব্যবহারে পরিনত কূটনীতি খুঁজে পাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। নির্বাচনে জয়লাভ করার পরই প্রাসাদপ্রমাণ ভবন ছেড়ে সাদামাটা ভবনে থাকার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। এমনকি শপথ গ্রহণে জাঁকজমক ব্যবস্থা করতে রাজি হননি। প্রথম থেকেই তিনি বার্তা দিয়েছেন গরিবের সরকার তৈরি হবে। এর জন্য নিজের জীবনযাপনেও পরিবর্তন আনেন প্রাক্তন পাক অধিনায়ক। আর এ দিন কোট ধার নিয়ে নয়া নজির গড়লেন ভাবী প্রধানমন্ত্রী।


আরও পড়ুন- চাওয়ালা বলে প্রচার, ভোট ফুরোতেই কোটিপতি ইমরানের দলের সাংসদ!


সংসদে এসে এ দিন বিরোধী দলের নেতাদের সঙ্গে তাঁর সৌজন্যবোধ নজর কেড়েছে সকলের। এ দিন পাকিস্তান পিপলস পার্টির সুপ্রিমো বিলওয়াল ভুট্টো জারদারির সঙ্গে ছবি তোলেন ইমরান। উল্লেখ্য, মঙ্গলবারই প্রথম সংসদে পা দিলেন ২৯ বছর বয়সী বেনজির-পুত্র। তাঁকে শুভেচ্ছা জানান এই প্রবীণ রাজনীতিক।


আরও পড়ুন- নাশকতা! ব্রিটিশ পার্লামেন্টের বেষ্টনী ভেঙে ঢুকে পড়ল গাড়ি



এ দিন ১৫ তম জাতীয় সংসদে শপথগ্রহণ পর্ব চলে। সাংসদ হিসাবে ইমরানকে শপথবাক্য পাঠ করান বিদায়ী অধ্যক্ষ আয়াজ সাদিক। ৩৪২ জন সাংসদ এ দিন শপথ পাঠ করেছেন। উল্লেখ্য, জাতীয় সংসদে মোট আসনের ৩৪২টির মধ্যে ১৫৮টি আসন পেয়েছে পিটিআই। যার মধ্যে  ১১৬টি আসন নির্বাচনে জিতেছে ইমরান খানের দল। পিটিআইয়ের শরিক হয়েছে ৯টি নির্দল। বাকি সংরক্ষিত আসনে ২৮ জন মহিলা এবং ৫ জন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সাংসদ প্রতিনিধিত্ব করছেন। নওয়াজ় শরিফের দলের রয়েছে ৮২টি আসন। পাশাপাশি বিলওয়ালের পিপিপি পেয়েছে ৫৪টি আসন।