নিজস্ব প্রতিবেদন: ভারতের সঙ্গে ‘আগ বাড়িয়ে’ বৈঠক করতে গিয়ে অন্দরেই মুখ পুড়ল ইমরান খানের সরকারের। পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পদক্ষেপকে সমালোচনা করে সে দেশের বিরোধী দলগুলি। অন্যতম বিরোধী দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ (নওয়াজ়)-র সুপ্রিমো শেহবাজ় নওয়াজ় বলেন, ক্ষমতায় আসার পরই এত তাড়াহুড়ো করে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের কী দরকার ছিল? ভারতের কাছে পৌঁছতে ইমরান সরকার যে প্রস্তুতি নিয়েছিল তা সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে বলে জানান শেহবাজ়। পিএমএল (এন)-র পাশাপাশি পাকিস্তান পিপলস পার্টিকে সমালোচনা করতে দেখা গিয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- ‘ছোটো মানুষ, দূরদৃষ্টতার অভাব রয়েছে’ মোদী সরকারকে কটাক্ষ ইমরানের


বিরোধীদের বক্তব্য, নরেন্দ্র মোদীকে কেন আগ বাড়িয়ে চিঠি দিয়ে বৈঠক করার অনুরোধ জানালেন ইমরান? নয়া দিল্লির বিরুদ্ধেও তোপ দাগেন সে দেশের বিরোধী দলের নেতারা। শেহবাজ়ের কথায়, পাকিস্তান যে শান্তি স্থাপনে উদ্যোগী হয়ে এক পা এগোয়, এই পদক্ষেপকে পাকিস্তানের দুর্বলতা ভাবলে ভুল করবে ভারত। ভারতের সেনা প্রধানের মন্তব্যের সমালোচনা করতে শোনা গিয়েছে তাঁদের।


উল্লেখ্য, শনিবার জয়পুরে ভারতের সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত হুঁশিয়ারি সুরে বলেন, এটা পাকিস্তানের সঙ্গে বন্ধুত্ব করার সময় নয়। তাদের বর্বরতার জবাব দেওয়ার সময়। তাঁর স্পষ্ট বার্তা, আলোচনা এবং সন্ত্রাস এক সঙ্গে চলতে পারে না। বিপিন রাওয়াতের এই মন্তব্যে সমালোচনা করে শেহবাজ় বলেন, দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং দম্ভের পরিচয় দিচ্ছেন রাওয়াত। শান্তি প্রক্রিয়ায় পাকিস্তানের এই উদ্যোগকে দুর্বলতা যেন ভেবে না নেয়। যে কোনও হুঁশিয়ারির পাল্টা জবাব দিতে প্রস্তুত পাক সেনা বলে শেহবাজ়েরও পাল্টা হুঁশিয়ারি।


আরও পড়ুন- সীমান্তে পাক সেনার বর্বরতার জবাব দেওয়ার সময়ে এসেছে, হুঁশিয়ারি সেনাপ্রধানের


উল্লেখ্য, আগামী সপ্তাহে নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্র সঙ্ঘের সাধারণ সভার ফাঁকে ভারত এবং পাকিস্তানের দুই বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ও শাহ মেহমুদ কুরেশির বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। এই প্রসঙ্গে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান চিঠি দিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী অনুরোধ জানিয়েছিলেন। চিঠির ইতিবাচক সাড়াও মিলেছিল সাউথ ব্লকের তরফে। তবে, ২৪ ঘণ্টা না কাটতেই সেই বৈঠক বাতিল করা হয়। নয়া দিল্লির যুক্তি, যেভাবে বর্বরোচিতভাবে হিংসা চালাচ্ছে পাকিস্তান, এর পর আলোচনার কোনও বিষয় থাকতে পারে না। সম্প্রতি কাশ্মীরে ৩ জওয়ানকে নৃশংসভাবে খুন করে পাক জঙ্গিরা। এমনকি জঙ্গি নেতা বুরহান ওয়ানির ডাক টিকিট প্রকাশ করে ইমরানের সরকার। কেন্দ্রের অভিযোগ, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে জঙ্গিদের ‘গৌরবান্বিত’ করছে পাকিস্তান।