নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলার মধ্যেই, ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (PTI) আবার ধাক্কা খেল। মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট - পাকিস্তান (MQM-P), পিটিআই-এর নেতৃত্বাধীন সরকারের সহযোগী ছিল। এই MQM-P PTI-এর সঙ্গ ছেড়ে বিরোধীদের সঙ্গে হাত মেলানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এরপরে, বর্তমান সরকার পাকিস্তান (Paklistan) পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব দুই ক্ষেত্রেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে। এই অনাস্থা ভোট ৩ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।


বর্তমানে পাকিস্তান সরকারের সংসদে মাত্র ১৬৪ জন সদস্য রয়েছে। পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের মোট সদস্য সংখ্যা ৩৪২। সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে গেলে প্রয়োজন ১৭২ জনের সমর্থন। পিটিআই-এর নেতৃত্বাধীন জোট ১৭৯ সদস্যের সমর্থনে সরকার গঠন করেছিল। কিন্তু এখন, MQM-P ছেড়ে যাওয়ার পরে, পিটিআই মাত্র ১৬৪ সদস্য নিয়ে সরকারে রয়েছে। অন্যদিকে জাতীয় পরিষদে এখন বিরোধীদের সমর্থক ১৭৭ জন। অনাস্থা ভোটে জেতার জন্য বিরোধীদের এই মুহূর্তে বিক্ষুব্ধ পিটিআই সদস্যদের সমর্থনের প্রয়োজন নেই।


মুর্তজা ওয়াহাবের তৈরি খসড়াতে স্বাক্ষর করেন জাতীয় পরিষদের বিরোধী নেতা শাহবাজ শরীফ, পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট (PDM) প্রধান মাওলানা ফজলুর রহমান এবং পাকিস্তান পিপলস পার্টির কো-চেয়ারম্যান আসিফ আলী জারদারি। MQM-P নেতা ফয়সাল সবজওয়ারী বিরোধীদের সঙ্গে যোগ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি টুইট করে জানিয়েছেনছেন, "বিরোধী জোট এবং মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট - পাকিস্তানের মধ্যে চুক্তি চূড়ান্ত হয়েছে।" 


আরও পড়ুন: ১২০ বছরেরও বেশি সময়, প্রায় ২০০ ব্যর্থ প্রচেষ্টা, অবশেষে আমেরিকায় ফেডারেল হেট ক্রাইম লিঞ্চিং


একটি বিবৃতিতে, MQM-P-এর মুখপাত্র জানিয়েছেন যে পার্টির রাবতা কমিটি তাদের বাহাদুরাবাদ অফিসে বুধবার দুপুর ২টোয় বৈঠক করবে। এই বৈঠকে খসড়াটি অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। পিপিপি-র চেয়ারপারসন বিলাওয়াল ভুট্টো-জারদারিও টুইটারে এই খবর জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এমকিউএম এর রাবতা কমিটি এবং পিপিপি-র সিইসি এই চুক্তিটি অনুমোদন করবে। তারপরে তারা বৃহস্পতিবার একটি সাংবাদিক সম্মেলন করবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।


সরকারের উপর চাপ সৃষ্টির লক্ষে MQM-P তাদের তিনটি দাবি পূরণের কথা জানিয়েছে। এই দাবিগুলির মধ্যে রয়েছে, তাদের নিখোঁজ হওয়া ১০০ জনেরও বেশি কর্মীকে নিরাপদে পুনরুদ্ধার করা, তাদের বন্ধ থাকা অফিসগুলি পুনরায় চালু করা এবং দলীয় নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মামলা প্রত্যাহার করা।


৮ মার্চ ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয় ১৬১ জনের সমর্থন নিয়ে। এরপরে ৩১ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত করা হয় সভা। 


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)