নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রথম পছন্দ না হলেও রাশিয়ার ‘বন্ধু’ তালিকায় উপরের দিকে রয়েছে ভারত। রুশ সমীক্ষাকারী সংস্থা লেভাদা সেন্টারের একটি সমীক্ষায় এমনই তথ্য উঠে এসেছে। তবে রাশিয়ার একমাত্র বেসরকারি এই সমীক্ষাকারী সংস্থাটিকে পুতিনের সরকার মান্যতা দেয় না। ‘লেভাদা’-র এই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে রাশিয়ার ‘বন্ধু তালিকায়’ পাঁচ নম্বরে রয়েছে ভারত।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- দুই দেশের বিদেশ ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বৈঠক বাতিল হোয়াইট হাউজের


রুশ নাগরিকদের মতামত এবং পছন্দের উপর তৈরি এই সমীক্ষায় প্রতিবেশী রাষ্ট্র বেলারুসের প্রতি বেশি পছন্দ প্রকাশ পেয়েছে। তবে সম্প্রতি পাকিস্তানের ‘মস্কো প্রীতি’ চোখে পড়লেও, তা সে ভাবে মন জয় করতে পারেনি রুশ নাগরিকদের। বেলারুসের পর এই তালিকায় যথাক্রমে রয়েছে চিন, কাজাখস্তান, সিরিয়া এবং ভারত।



এই সমীক্ষায় উল্লেখযোগ্যভাবে চিনের নাম প্রথম সারিতে উঠে আসায় জল্পনা তৈরি হয়েছে বিশেষজ্ঞমহলে। তবে, সোভিয়েত ইউনিয়ন ভাঙার পর চিনের সঙ্গে রাশিয়া সখ্য বাড়তে শুরু করে। এই সময় থেকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ে বেজিংয়ের। ২০০১ সালে সীমান্ত রেখায় সমঝোতা এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে উন্নয়নে একাধিক চুক্তিতে স্বাক্ষরও করে দুই দেশ। ২০১৩ সালে মস্কো সফরে গিয়ে পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাত্ করেন খোদ চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-ও।


আরও পড়ুন- ‘ব্লাউজ দেখা যাচ্ছে!’ সমালোচিত সৌদি সঞ্চালিকা


সাবেক রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্ক শীর্ষে পৌঁছালেও শীত যুদ্ধ শেষ হতেই সেই সম্পর্কে চিড় ধরতে দেখা যায়। ১৯৯১ সালের পর থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বেশি ঘনিষ্ঠ হতে দেখা গিয়েছে নয়া দিল্লিকে। তবে, দীর্ঘ সময় ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার সঙ্গে দু-নৌকায় পা দিয়ে সুষম সম্পর্ক বজায় রাখার প্রচেষ্টা চালিয়েছে ভারত। রাশিয়ার মাটিতে দাঁড়িয়ে প্রাক্তন বিদেশ সচিব রঞ্জন মাথাই কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরালো করতে রাজনীতি, প্রতিরক্ষা, পরমাণু শক্তি, সন্ত্রাসবাদ ইস্যু এবং মহাকাশ গবেষণা এই পাঁচটি বিষয়ে জোর দিয়েছিলেন। ২০২৫ সালের মধ্যে অর্থনীতিকে যুক্ত করে ৩ হাজার কোটি মার্কিন ডলারের বাণিজ্যিক চুক্তিতে আবদ্ধ হয়েছে দুই দেশ।


আরও পড়ুন- নওয়াজের দলকে হারাতে অন্যদের সঙ্গে হাত মেলাতেও প্রস্তুত : ইমরান খান


উল্লেখ্য রাশিয়ার অন্যতম শত্রু দেশ হিসাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে চিহ্নিত করেছে এই সমীক্ষা। রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের উত্সাহ দেখা গেলেও, সে দেশের নাগরিকরা মার্কিন প্রেসিডেন্টকে পছন্দ করছে না বলে জানা গিয়েছে। এছাড়া, ইউক্রেন, লাতিভা, লিথুয়ানিয়া-র মতো প্রতিবেশীদেশগুলিও শত্রু তালিকায় জায়গা পেয়েছে। এই তালিকায় রয়েছে জার্মানিও।