জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: গত সপ্তাহে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশসচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ধর্মীয় স্বাধীনতার নিরিখে ১২টি দেশকে ‘স্পর্শকাতরতা’র (কান্ট্রিজ অব পার্টিকুলার কনসার্ন) আওতায় ফেলেছিলেন। কিন্তু ভারতের ক্ষেত্রে একটু ভিন্ন ভাবে মন্তব্য করল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। জো বাইডেন প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিক বিদেশ দফতরের মুখপাত্র নেড প্রাইস বললেন--ভারতে বিভিন্ন ধরনের ধর্মাবলম্বী মানুষের বাস। ভারত সরকার যাতে সে দেশে বসবাসকারী প্রত্যেক মানুষের ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষার প্রতিশ্রুতি দিতে পারে সেজন্য বাইডেন প্রশাসন সর্বদা উৎসাহ জুগিয়ে যাবে! খুবই তাৎপর্যপূর্ণ সন্দেহ নেই।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: 'টাইম' ম্যাগাজিনের 'পার্সন অফ দ্য ইয়ার' হলেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি...


গত সপ্তাহে আমেরিকার বিদেশসচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ধর্মীয় স্বাধীনতার নিরিখে ১২টি দেশকে ‘স্পর্শকাতরতা’র (কান্ট্রিজ় অব পার্টিকুলার কনসার্ন) আওতায় ফেলেছিলেন। যার মধ্যে ছিল চিন, পাকিস্তান, মায়ানমারের মতো দেশ। ব্লিঙ্কেন বলেছিলেন-- বিশ্বে এমন কিছু দেশের সরকার ও রাষ্ট্রবহির্ভূত শক্তি রয়েছে, যারা বিশেষ কিছু ধর্মের মানুষকে প্রতিনিয়ত হেনস্থা করছে, ভয় দেখাচ্ছে, জেলে পুরছে অথবা হত্যা করছে। আমেরিকা কিন্তু ভারতকে সেই সব দেশের আওতায় ফেলেনি।


আরও পড়ুন: পৃথিবীর বাইরেও এক অতিকায় মহাসমুদ্র! চিনে নিন প্রাচীন এই মহাসাগরটিকে...


কেন ফেলেনি, তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। ব্লিঙ্কেনের হয়ে এর জবাব দিয়েছেন নেড প্রাইস। তিনি জানিয়েছেন, ভারত বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ এবং সেখানে নানা ধর্মীয় বিশ্বাসের লোকের বাস। তাঁর কথায়-- ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে যে বার্ষিক রিপোর্ট আমাদের তরফে প্রকাশ করা হয়, তাতে ভারতের ক্ষেত্রে কিছু কিছু উদ্বেগজনক পরিস্থিতি লক্ষ্য করা গিয়েছে।


তবে এর পরই আসল ব্যাখ্যায় ঢুকেছেন নেড প্রাইস। তিনি বলেছেন, তাঁরা পর্যালোচনা করে দেখেছেন, অন্য ১২টি দেশে এই পরিস্থিতি যা, ভারতে সেই পরিস্থিতি ততটা উদ্বেগজনক নয়। তবে পাশাপাশি তিনি জানান, ভারত যাতে তার নাগরিকদের ধর্মীয় স্বাধীনতা ও অধিকার রক্ষার প্রতিশ্রুতি বরাবর বজায় রাখতে পারে, সেজন্য আমেরিকা উৎসাহ দিয়ে যাবে।
           (Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)