নিজস্ব প্রতিবেদন: কাশ্মীর নিয়ে আরও একবার আন্তর্জাতিক মঞ্চে ধাক্কা খেল পাকিস্তান। রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের রুদ্ধদ্বার বৈঠকে চিন ছাড়া কেউই সঙ্গ দিল না ইসলামাবাদের। বৈঠক শুরু আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ফোন করেছিলেন ইমরান খান। তবে সেই চেষ্টা গিয়েছে বিফলেই। এদিন রাষ্ট্রসঙ্ঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি সৈয়দ আকবরউদ্দিন আরও একবার স্পষ্ট করে দেন, ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদ পুরোপুরিই ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। ভারতের সাংবিধানিক ব্যবস্থায় পদক্ষেপ করা হয়েছে। এর অন্য দেশের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এদিন সাংবাদিক বৈঠকে আকবরউদ্দিন বলেন,'জম্মু-কাশ্মীরে সম্প্রতি সরকার একটা পদক্ষেপ করেছে। রাজ্যের মানুষের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য নেওয়া হয়েছে সিদ্ধান্ত। এর সঙ্গে অন্য কোনও দেশের সম্পর্ক নেই।'  



কাশ্মীরে ইন্টারনেট ও মোবাইল ফোনের পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে এদিনই জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্য সচিব বিভিআর সুব্রহ্মণ্যম জানিয়ে দিয়েছেন, সপ্তাহের শেষ দিকে অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে যাবে উপত্যকা। এদিন আকবরউদ্দিনও বলেন,'ধীরে ধীরে সমস্ত রকম প্রতিবন্ধকতা প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে। জম্মু-কাশ্মীরে শান্তি ফিরিয়ে আনতে দায়বদ্ধ ভারত সরকার।'             



একইসঙ্গে পাকিস্তানের নাম না করে আকবরউদ্দিনের বার্তা, কাশ্মীর নিয়ে একটা আশঙ্কার আবহ তৈরি করা হচ্ছে, যা বাস্তব অবস্থা থেকে একেবারে ভিন্ন। বিশেষ করে একটা দেশ, তাদের নেতারাও কাশ্মীরে জেহাদের নামে হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা করছে। ভারত যে শান্তির পথেই সমাধান চায় তাও একবার স্পষ্ট করেছেন রাষ্ট্রসঙ্ঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি।



চিনের আবেদনে সাড়া দিয়ে কাশ্মীর নিয়ে রুদ্ধদ্বার আলোচনায় রাজি হয়েছিল রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদ। কিন্তু বৈঠকে চিন ছাড়া কাউকেই পাশে পায়নি ইসলামাবাদ। কাশ্মীর দ্বিপাক্ষিক বিষয় বলে বাকি চার সদস্য পাশে দাঁড়িয়েছে ভারতের। বেজিং সওয়াল করে, এক তরফাভাবে কাশ্মীর থেকে ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহার করেছে ভারত। তবে কাশ্মীরকে ভারত ও পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক বিষয় বলে মনে করে বাকি চার সদস্য রাশিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও ফ্রান্স।


আরও পড়ুন- ভিডিয়ো: পাক সাংবাদিককে জবাব দিয়ে হৃদয় জিতলেন ভারতের প্রতিনিধি আকবরউদ্দিন