নিজস্ব প্রতিবেদন - দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের সবথেকে বড় বাণিজ্য সহযোগী দেশ বাংলাদেশ। গত এক দশকে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য বেড়েছে। ২০১৮-১৯ সালে বাংলাদেশে ভারত প্রায় ৯.২১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছিল। বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা হয়েছিল ১.০৪ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। কিন্তু চলতি বছর করোনা দুই দেশের ব্যবসা বানিজ্যে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। তাছাড়া দুই দেশের সম্পর্কে ফাটল ধরাতে উঠেপড়ে লেগেছে চিন। কিন্তু ভারত সবসময় বাংলাদেশকে বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবেই দেখে এসেছে। আর তাই এবার দুই দেশের বাণিজ্য বৃদ্ধিতে বহুমুখী পরিকল্পনা নিয়েছে ভারত। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

চিন সম্প্রতি ঘোষণা করেছে যে তারা নিজেদের দেশে বাংলাদেশের ৯৭ ভাগ পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশের সুবিধা দেবে। ভারতের সঙ্গে রেষারেষির জন্যই চিনের এমন সিদ্ধান্ত বলে ধরা হচ্ছিল। তবে চিনের এমন সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের জন্য তেমন হিতকারী হত না। বরং বাংলাদেশকে বাণিজ্য ঘাটতি ও ঋণের ফাঁদে ফেলতে পারে এই পদক্ষেপ। আর তাই প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে বহুমুখী পরিকল্পনা নিয়েছে ভারত। 


আরও পড়ুন-  জলে ভেসে ভারতের গরু চলে যাচ্ছে বাংলাদেশে! ওপার বাংলার বাজার খারাপ


জানা গিয়েছে, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোতে বাংলাদেশি পণ্যের বাধাহীন প্রবেশ নিশ্চিত করতে  পারে ভারত। একইসঙ্গে  ভুটান ও নেপালের সঙ্গে সড়ক ও রেলপথে  বাংলাদেশকে পণ্য পরিবহণের সুবিধা দেওয়ার কথাও ভাবা হচ্ছে। এমনিতেই ভারত ও বাংলাদেশ ১৯৬৫ সালের আগেকার রেল লাইন পুনরায় চালু করার পরিকল্পনা করছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকর বুধবার বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বহুমুখী পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। যদিও বাণিজ্যের জন্য বাংলাদেশকে বহু বছর ধরেই একাধিক সুযোগ সুবিধা দিয়ে আসছে ভারত।