নিজস্ব প্রতিবেদন: ইরানের কাছ থেকে তেল আমদানি করলে পস্তাতে হবে মার্কিন ‘বন্ধু’ দেশগুলিকে। হুঁশিয়ারি আগেই দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই তালিকায় বাদ ছিল না ভারত-ও। কিন্তু জ্বালানি তেল আমদানি করতে ভারতকে পুরোপুরি নির্ভর করতে হয় তেল উত্পাদক দেশগুলির উপর। ইরান ছিল নয়া দিল্লির আমদানি তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে। সে কথা মাথায় রেখে হোয়াইট হাউজের তরফে জানানো হয়েছে, ভারতকে বিকল্প দেশ খুঁজতে হবে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- তীব্র ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ইন্দোনেশিয়া, জারি সুনামি সর্তকতা


হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, তেল আমদানিতে গুরুত্বপূর্ণ দেশ ভারত। নয়া দিল্লির সঙ্গে আলোচনা করেই বিকল্প তেল উত্পাদক দেশের সন্ধান করতে হবে। যাতে ভারতের অর্থনীতিতে কোনও প্রভাব না পড়ে। ইতিমধ্যে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা হুঁশিয়ারি শুনে ইরানের থেকে তেল আমদানি কমিয়েছে ভারত।


উল্লেখ্য, ৪ নভেম্বরে মধ্যে আরও বড়সড় নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে চলেছে ইরান। ২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি করে বারাক ওবামার প্রশাসন। কিন্তু ট্রাম্প ক্ষমতা আসার পরই চলতি বছরে সেই চুক্তি ভঙ্গ করেন। এবং ইরানের উপর একাধিক নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়। ট্রাম্প হুমকিও দেন, ইরানের সঙ্গে যে সব দেশে সম্পর্ক রাখবে, তাদের উপর কড়া ব্যবস্থা নেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।


আরও পড়ুন- ইন্দোনেশিয়ায় সুনামি প্রাণ কাড়ল কমপক্ষে ৩৮০ জনের, আরও বাড়তে পারে মৃত্যুর সংখ্যা


অশোধিত তেল আমদানির পাশাপাশি চাবাহার বন্দর নিয়ে দোলাচলে রয়েছে ভারত। তবে, চাবাহার বন্দর ভারত এবং আফগানিস্তানের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেওয়ায় নরম মনোভাব দেখিয়েছে আমেরিকা। দক্ষিণ এবং মধ্য এশিয়ার ব্যুরোর প্রিন্সিপল ডেপুটি অ্যাসিস্টেন্ট সেক্রেটারি অ্যালিস ওয়েলস জানিয়েছেন, চাবাহার বন্দরের মাধ্যমে গম রফতানি করে আফগানিস্তানকে যে ভাবে ভারত সহযোগিতা করেছে, তা প্রশংসনীয়। ভারত-আফগানিস্তান সম্পর্কে আদান-প্রদান অনেকটাই সহজ হয়ে যাওয়ায় চাবাহার বন্দর বিষয়ে বিবেচনা করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, চাবাহার বন্দর চালু হওয়ায় ইরান-ভারত-আফগানিস্তানের  বাণিজ্য করডির নতুন পথ দেখাচ্ছে। অন্তত পাকিস্তানকে উপেক্ষা করেই এ বার সহজেই মধ্য এশিয়া বাণিজ্য করতে পারবে ভারত।