জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ভারত চিরকালই নিজস্ব মন্ত্রে বিশ্বাসী। অন্যকে আক্রমণ নয়, সাম্রাজ্যবাদ নয়, অন্যত্র প্রভুত্ব বিস্তার নয়। ভারতের অ্যাটিটিউড ইতিহাসের আদি কাল থেকেই পরিশীলিত। যেন সেই কথাটাই আর একবার মনে করাল রাষ্ট্রসংঘ।
ভারতকে প্রকৃতই এক বহুত্ববাদী এবং সহনশীল দেশ হিসেবে স্বীকার করে নিলেন ভারতের জন্য রাষ্ট্রসংঘের রেসিডেন্ট কো-অর্ডিনেটর শম্বি শার্প। মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে এক অনুষ্ঠান আয়োজন করেছিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। সেখানে বক্তৃতা দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল রাষ্ট্রসংঘের এই প্রতিনিধিকে। ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। ছিলেন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারপার্সন, সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অরুণ মিশ্র। ওই অনুষ্ঠানেই রাষ্ট্রসংঘের ডিরেক্টর জেনারেল আন্তোনিও গুতেরেসের লিখিত বার্তাও পড়ে শোনান শম্বি শার্প। তিনি জানান, রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ এবং জি২০ গোষ্ঠীর সভাপতিত্বের মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলিতে এখন গুরুত্বপূর্ণ পদের অধিকারী ভারত। ফলে মানবাধিকার এবং উন্নয়ন এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ভারতের নেতৃত্বের দিকেই তাকিয়ে বিশ্ব।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: ভারতে ধর্মীয় স্বাধীনতা অক্ষুণ্ণ রাখা নিয়ে হঠাৎ কেন এত উদ্বিগ্ন জো বাইডেনের দেশ?


শার্প আরও জানান, দীর্ঘকাল ধরেই ভারত মানবাধিকারের নীতি পালন করে আসছে। সকলের জন্য স্বাধীনতা এবং ন্যায়বিচারের ধারণার সমর্থক সে। শার্প এই প্রসঙ্গেই বলেন--এই ধারণাগুলি ভারতীয় সংবিধানেই রয়েছে। ভারতীয় সংবিধান বহুত্ববাদী এবং সহনশীল একটি সমাজকেই প্রতিফলিত করে। এক্ষেত্রে তিনি মহাত্মা গান্ধী এবং বিআর আম্বেদকরের অবদানের কথা উল্লেখ করেন।


আরও পড়ুন: এই প্রথম ভোটে জয়ী হল অভিধানের শব্দ, অক্সফোর্ডে ঢুকল 'ইচ্ছে হল এক ধরনের গঙ্গাফড়িং'...


প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তরফেও ভারতকেও এই শংসাপত্র দেওয়া হয়েছিল। যা নিয়ে কিছুটা বিতর্কও হয়েছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশসচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ধর্মীয় স্বাধীনতার নিরিখে ১২টি দেশকে ‘স্পর্শকাতরতা’র (কান্ট্রিজ অব পার্টিকুলার কনসার্ন) আওতায় ফেলেছিলেন। ব্লিঙ্কেন বলেছিলেন-- বিশ্বে এমন কিছু দেশের সরকার ও রাষ্ট্রবহির্ভূত শক্তি রয়েছে, যারা বিশেষ কিছু ধর্মের মানুষকে প্রতিনিয়ত হেনস্থা করছে, ভয় দেখাচ্ছে, জেলে পুরছে অথবা হত্যা করছে। ব্লিঙ্কেন কিন্তু ভারতকে সেই সব দেশের আওতায় ফেলেনি। তবে কেন ফেলেননি, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। ব্লিঙ্কেনের হয়ে এর জবাব তখন দিয়েছিলেন নেড প্রাইস। তিনি জানিয়েছিলেন, ভারত বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ এবং সেখানে নানা ধর্মীয় বিশ্বাসের মানুষজনের বসবাস। তাঁরা এসব পর্যালোচনা করে দেখেছেন, অন্য ১২টি দেশে এই পরিস্থিতি যেমন, ভারতে সেই পরিস্থিতি ততটা উদ্বেগজনক নয়!


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)