নিজস্ব প্রতিবেদন- করোনা সংক্রমণ রুখতে একমাত্র হাতিয়ার হতে পারে মাস্ক। বিশেষজ্ঞরা এমনই বলছেন। ঘন ঘন হাতে-মুখে হাত দিয়ে ফেললেও কিছু সময় মাস্ক বাঁচিয়ে দিতে পারে সংক্রমণের হাত থেকে। আর তাই বিশেষজ্ঞরা বারবার বলছন, এই অতিমারির সময় মাস্ক পরতে হবে। তবে এখনও কিছু মানুষের টনক নড়ছে না। অনেকেই রাস্তা-ঘাট বা বাজারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন মাস্ক ছাড়া। আর তাই বাড়ছে সংক্রমণের আশঙ্কা। ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ লাখ পেরিয়েছে। তবে এখনও এদেশে বহু মানুষকে মাস্ক ছাড়া দেখা যাচ্ছে। প্রশাসন বারবার নির্দেশ দেওয়া সত্ত্বেও তাঁরা মাস্ক পরতে রাজি নন। তবে পুলিস এই ব্যাপারে কড়া অবস্থান নিয়েছে। মাঝেমধ্যেই মাস্ক ছাড়া রাস্তায় বেরনো লোকজনের জরিমানা হচ্ছে। তবে তাতেও সামগ্রিকভাবে সচেতনতা ছড়াচ্ছে না।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মাস্ক না পরলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে লোকজনকে শাস্তির মুখে পড়তে হচ্ছে। তবে এমন শাস্তি হয়তো ইন্দোনেশিয়া ছাড়া আর কোথাও দেওয়া হচ্ছে না। মাস্ক না পরলেই পাঠিয় দেওয়া হচ্ছে কবরখানায়। শাস্তি, সারাদিন সেখানে কবর খুঁড়তে হবে। সারাদিন যতগুলি মৃতদেহ আসবে সব কটির জন্য কবর খুঁড়তে হবে সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে। দ্য জাকার্তা পোস্ট-এর এক প্রতিবেদন লেখা হয়েছে, রোজ শয়ে শয়ে মৃতদেহ আসছে কবরখানায়। সেগুলিকে কবর দেওয়ার লোকের অভাব। তাই প্রশাসন মাস্ক না পরা লোকজনকে কবরখানায় পাঠাচ্ছে। ইতিমধ্যে অনেককেই এই শাস্তি ভোগ করতে হয়েছে। তবে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, এমন শাস্তির জেরে তো দেশে করোনা সংক্রমণের হার আরও বেড়ে যেতে পারে। তবে প্রশাসন কোনও সমালোচনায় কান দিচ্ছে না।


আরও পড়ুন-  যে দেশ 'সন্ত্রাসবাদের আঁতুড়ঘর', তাদের মুখে মানবাধিকার কথা! পাকিস্তানকে চপেটাঘাত দিল্লির


প্রশাসন বলছে, সারাদিন কবরখানায় থাকলে সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তির মনে করোনা নিয়ে আতঙ্ক তৈরি হবে। সেই ব্যক্তি তবে আর কখনও মাস্ক ছাড়া বেরোবেন না। অনেককে আবার শাস্তি হিসাবে কবরখানায় দাড়োয়ানের কাজেও লাগানো হয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার সরকার আসলে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে চাইছে। যাতে একজনকে দেখে আরও দশজনের শিক্ষা হয়। কিন্তু এমন শাস্তির আড়ালে তারা আরও বড় বিপদ ডেকে আনছে না তো!