Indonesian Earthquake: ভয়াল ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৬২, দুঃসময়ে পাশে ঋষি সুনক
`ইন্দোনেশিয়ার এই বিশাল ক্ষয়ক্ষতি দেখে আমি হতভম্ব। মাত্র এক সপ্তাহ আগেই ইন্দোনেশিয়ার মানুষের উষ্ণতা, উদারতা ও সৌহার্দ্যর সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগ ঘটে আমার।`
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ইন্দোনেশিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৬২। অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ১৩ হাজার জনকে। ভূমিকম্পের ফলে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন ইন্দোনেশিয়ার ওয়েস্ট জাভা প্রদেশের গভর্নর। কারণ এখনও ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকে রয়েছেন বহু মানুষ।
সোমবার তীব্র ভূমিকম্প অনুভূত হয় ইন্দোনেশিয়ায়। রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৫.৬। ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তা। এই ভূমিকম্পের উপকেন্দ্র ছিল পশ্চিম জাভার সিয়ানজুরে, মাটি থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে। ভয়াল ভূমিকম্পে ইন্দোনেশিয়ার মাটি কেঁপে উঠতেই ফিরে আসে সুনামির বিভীষিকাময় স্মৃতি। দেখা দেয় আতঙ্ক। ফের কি সুনামি আসছে? যদিও বিশেষজ্ঞরা আশ্বস্ত করেন যে, সুনামির তেমন কোনও আশঙ্কা নেই! কিন্তু তাও সাবধানতা হিসেবে জাকার্তা থেকে সাধারণ মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
এই সংক্রান্ত কিছু ভিডিয়োও প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, বেশ কিছু হাইরাইজ ভেঙে পড়ছে। ধ্বংসস্তূপ চারদিকে। যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন। ব্যহত সব ধরনের পরিষেবা। প্রসঙ্গত, এখানে এত ভূমিকম্প হয় যে, ইন্দোনেশিয়াকে তাই বয়েলিং পট অফ আর্থকোয়েক বলা হয়। রিং অফ ফায়ারের উপর অবস্থিত ইন্দোনেশিয়া। তাই ইন্দোনেশিয়া অত্যন্ত ভূমিকম্পপ্রবণ। দুটি টেকটোনিক প্লেটের মধ্যে ধাক্কা লাগলেই ভূমিকম্প হয় এখানে।
ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্প ও তাতে ব্যাপক সংখ্যক প্রাণহানির ঘটনায় গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক। তিনি লিখেছেন, 'ইন্দোনেশিয়ার এই বিশাল ক্ষয়ক্ষতি দেখে আমি হতভম্ব। মাত্র এক সপ্তাহ আগেই ইন্দোনেশিয়ার মানুষের উষ্ণতা, উদারতা ও সৌহার্দ্যর সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগ ঘটে আমার।' ইন্দোনেশিয়ার এই বিপদের দিনে ব্রিটেন সর্বতোভাবে দ্বীপরাষ্ট্রের পাশে আছে বলেও জানান নবনিযুক্ত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। দুঃসময়ে ইন্দোনেশিয়ার পাশে দাঁড়িয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও।
আরও পড়ুন, একদিনেই ২৭ হাজার করোনা-আক্রান্ত! উদ্বিগ্ন সরকার দিল ঘরবন্দির নির্দেশ...