ওয়েব ডেস্ক: আজ থেকে ১৫ বছর আগে। ১০২ মিনিটের জঙ্গি হামলা। বদলে দিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তথা বিশ্বকে। বিশ্বব‌্যাপী ৯/১১ হামলা হিসেবে পরিচিতি পাওয়া ওই ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় প্রায় তিন হাজার মানুষ নিহত হন। আসুন সেই হামলা নিয়ে জানা-অজানা কিছু তথ্য জেনে নিই--


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

১) এই হামলার ফলে তিন হাজারেরও বেশী শিশু তাদের অভিভাবক হারা হয়ে যায়। পরে ১৭ জন এমন শিশুদের জন্ম হয় যাদের বাবা এই হামলায় মারা যায়।


পড়ুন- মিশরে খৎনা বিরোধী আইনের বিরোধীতা


২) ৯/১১- হামলার পর জানা যায় এক সাহসী হিরোর কথা। নাম রোসেলে। হলুদ রঙের এই ল্যাবরেডর তাঁর অন্ধ মালিককে পথ দেখিয়ে নর্থ টাওয়ারের ৭৮ তলা থেকে নিরাপদে নামিয়ে বন্ধুর বাড়ি নিয়ে যায়। সেই সময় জ্বলছিল টাওয়ার।


আরও পড়ুন- উত্তর কোরিয়ার পরমানু পরীক্ষায় কাঁপুনি দুনিয়া জুড়ে


৩) দমকলকর্মীদের ১০০ দিন লাগে পুরো আগুনকে সম্পূর্ণ নেভাতে। অনেক দমকলকর্মী অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন।


৪) পেন্টাগনের যে জায়গাটে ফ্লাইট ৭৭-এসে আঘাত করেছিল, সেই জায়গার দেওয়াল বহু ডলার খরচ করে মেরামত করা হয়েছিল কয়েক দিন আগে।



৫) এই হামলা যেসব হাইজ্যাকার বা বিমান অপহরণকারীরা যুক্ত ছিল, তারা হামলার আগের দিন রাত কাটিয়েছিল এক দামী হোটেলে। এই হোটেলের পাশেই মার্কিন গুপ্তচর সংস্থার অফিস, ন্যাশানাল সিক্যুইরিটি এজেন্সির দফতর।


৬) যেসব প্রথম হামলা হয় তখন মার্কিন অফিসার জন পেরি পুলিস হেডকোয়ার্টারে তাঁর অবসরের কাগজে সই করছেন। হামলার খবর শুনে সই শেষে পেরি ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধারকাজে হাত লাগান। টাওয়ার ভেঙে মারা যান পেরি। তিনিই ছিলেন সেদিনের হামলায় নিহত একমাত্র অফ ডিউটি অফিসার।



৭) যে কোম্পানি ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের মালিকানার দায়িত্বে ছিল  তারা সেই ৯/১১-দিনে জঙ্গি হানা রোখার বিষয়ে এই ভবনেরই ৮৮ তলায় এক মিটিং ডেকেচিল। কিন্তু ঠিক আগের দিন সেই মিটিং বাতিল হয় কারণ এক সদস্য আসতে পারবে না বলে।


৮) ৯/১১ হামলার পর মার্কিন মুলুকে একটা মাত্র বিমানকে ওড়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। বিমানটি উড়েছিল স্যান দিয়েগো থেকে মিয়ামি। বিমানটিতে ছিল সাপে কামড়ানোর পর এক দামী ওষুধ। অ্যান্টি ভেনাম এই ওষুধটি আইসিইউতে ভর্তি এক মানুষের জন্য খুব দরকার ছিল। বিমানটিতে ছিলেন দুজন জেট ফাইটার্স।