জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার চরম নিন্দনীয়, সে অপরাধের ক্ষমা নেই। আজও হিরোশিমা-নাগাসাকি মানবজাতির ইতিহাসে দগদগে ঘা হয়ে আছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও পরমাণু অস্ত্রে শক্তিশালী দেশগুলি নিজেদের অস্ত্র ভাণ্ডার থেকে পরমাণুশক্তি কমাতে চায় না। ব্যবহার করার থেকে বিরতও হতে চায় না। কিন্তু এ সবেরও তো প্রাথমিক পর্ব রয়েছে। পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের আগে, সেটা পরীক্ষা করতে হবে। সেই পরীক্ষাতেও কম বড় ক্ষতি হয় না! হয়তো প্রাণহানি হয় না, কিন্তু পরিবেশ প্রকৃতির বিপুল ক্ষতি হয়। সেটাও কাম্য নয়। সেই ক্ষতি এড়াতেও এরকম একটি দিন ভাবা হয়েছে। এদিনের লক্ষ্য তাই, নিউক্লিয়ার পরীক্ষাটার মূলেই নিষেধাজ্ঞার বেড়ি পরানেো। প্রতি বছর ২৯ অগস্ট এই দিনটি উদযাপিত হয়। এ বছর দিনটির ১৩ তম বছর। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কেন এরকম একটি দিনের কথা ভাবা হল? 


আরও পড়ুন: Nuclear Disarmament Treaty at UN: পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ চুক্তিতে বাধা রাশিয়ার, তবে কি পরমাণুযুদ্ধের আশঙ্কা জিইয়ে...


অত্যন্ত দুঃখজনক তথ্য হল, ১৯৪৫ সাল থেকে ১৯৯৬ এই সময়-পর্বে মোট ২০০০ টি পরমাণু পরীক্ষা ঘটেছে!এর বেশিরভাগটাই ঘটিয়েছে আমেরিকা ও রাশিয়া। আর এসবের ফলে বিশ্বে শুরু হয়ে গেছে কোল্ড ওয়ার যা ১৯৯১ সাল পর্যন্ত বিশ্বকে নানা ভাবে ত্রস্ত করে রেখেছিল।


২০০৯ সালে রাষ্ট্রসঙ্ঘে এই দিনটির কথা পরিকল্পনা করা হয়েছিল।  তবে ১৯৯৬ সালে 'কম্প্রিহেনসিভ নিউক্লিয়ার টেস্ট ব্যান ট্রিটি'র কথা ভাবা হয়েছিল। ১৭০টি দেশ এই সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনা করেছিল। সহমত পোষণ করেছিল। কিন্তু ১১টি দেশ কোনও ভাবেই এই সিদ্ধান্তে সহমত পোষণ তো করেইনি, উল্টে বিরোধিতা করেছে। কিন্তু তবুও এরকম একটি দিনের তাৎপর্য কমে  না। কেননা, এইরকম একটি দিনে যে কোনও ধরনের পরমাণু অস্ত্রের বিরোধিতা করা হয়। মানবজাতির জন্য শান্তি ও সুরক্ষাই কাম্য।   


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)