জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: পুরুষদের জন্য একটি দিন! তা-ও আবার আছে নাকি, বলে অনেকে হয়তো চোখ কপালে তোলেন। কিন্তু বাস্তবটা হল, এমন একটি শুধু আছে নয়, তা বিয়ে বিশ্বের একটা বড় অংশ যথেষ্ট সচেতনও। প্রতি বছর ১৯ নভেম্বর তারিখে এই আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস পালিত হয়। বিশ্বব্যাপী পুরুষদের মধ্যে লিঙ্গভিত্তিক সমতা, বালক ও পুরুষদের স্বাস্থ্য নিশ্চিত করা এবং পুরুষের ইতিবাচক ভাবমূর্তি তুলে ধরার দিন হিসেবেই এটি উদ্‌যাপিত হয়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এই দিনটি পালনের দাবি অনেক আগে থেকেই উঠেছিল। ১৯৬০ সাল থেকে এমন একটি দিন পালনের দাবি অনেকেই জানাতে শুরু করে। ৮ মার্চ বিশ্ব নারী দিবস পালন করা শুরু হলে এই দাবি আরও জোরালো হয়।‌ পুরুষ দিবস পালনের প্রস্তাব প্রথম করা হয় ১৯৯৪ সালে। তবে এর ইতিহাস বেশ পুরনো। ১৯২২ সাল থেকে সোভিয়েত ইউনিয়নে পালন করা হত রেড আর্মি অ্যান্ড নেভি ডে। এই দিনটি পালন করা হত মূলত পুরুষদের বীরত্ব আর ত্যাগের প্রতি সম্মান জানিয়ে। ২০০২ সালে এই দিনটির নামকরণ হয় ‘ডিফেন্ডার অফ দ্য ফাদারল্যান্ড ডে’। রাশিয়া, ইউক্রেন-সহ তখনকার সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলিতে দিনটি পালন করা হত। বলা যায়, নারী দিবসের অনুরূপভাবেই দিনটি পালিত হয়। ষাটের দশক থেকেই পুরুষ দিবস পালনের জন্য লেখালেখি চলছে। ১৯৬৮ সালে আমেরিকান সাংবাদিক জন পি হ্যারিস নিজের লেখায় এ দিনটি পালনের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তার পর নব্বইয়ের দশকের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া ও মাল্টায় কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ফেব্রুয়ারিতে পুরুষ দিবস পালনের জন্য বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। যদিও অনুষ্ঠানগুলি তেমন প্রচার পায়নি। পরবর্তী সময়ে ১৯ নভেম্বর বিশ্ব পুরুষ দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।


আরও পড়ুন: Watch: 'একি মায়া, লুকাও কায়া'! শিকাগোর রাস্তায় শাড়ি পরে হাঁটছেন মার্কিন পুরুষ...


কেন এরকম একটি দিন পালনের ভাবনা?


বিশ্ব পুরুষ দিবসের মূল উদ্দেশ্য, আদর্শ পুরুষদের সম্মান জানানো। এ দিনটি আসলে সমাজকে আলাদা করে পুরুষদের গল্প বলার দিন। পুরুষরা বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেন। এর মধ্যে রয়েছে বাড়ির সদস্যদের খেয়াল রাখা-- বাবা-মায়ের প্রতি বিশেষ নজর, স্ত্রীর প্রতি আলাদা মনোযোগ, বাচ্চার অতিরিক্ত যত্ন নেওয়া, পরিজন ও বন্ধুদের সময় দেওয়া। পাশাপাশি, সামাজিক দায়িত্ব পালন ইত্যাদি। সামগ্রিক ভাবে পরিবার ও সমাজের প্রতি পুরুষদের দায়িত্বের কথাই মনে করিয়ে দেয় দিনটি। সমাজে মেয়েদের মতো পুরুষরাও বেশ কিছু জায়গায় বিষম আচরণের মুখোমুখি হন। সেই আচরণ থেকে তাঁদের রক্ষার বার্তাও দেয় এই বিশেষ দিন‌টি। তা ছাড়া, লিঙ্গবৈষম্য কমিয়ে আনার ব্যাপারে এখন সারা পৃথিবী সচেতন। এজন্য নারীর পাশাপাশি কিছু কিছু বিষয়ে পুরুষের অধিকার সুনিশ্চিত করাও দরকার। বিশ্ব পুরুষ দিবস এই সব কথাগুলিই মনে করিয়ে দেয়।‌


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)