নিজস্ব প্রতিবেদন: মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রভাব খাটিয়ে বিতর্কের শিরোনামে এসেছিল কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা সংস্থা। তার জেরে কড়ায় গণ্ডায় মাশুল গুনতে হয় ফেসবুককে। ফেসবুকের বিশ্বাসযোগ্যতা একেবারে তলানিতে পৌঁছয়। প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টার বার্তা দেন ফেসবুক কর্তা মার্ক জু়কারবার্গ। তবে, ফের ফেসবুকের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল। এ বার ঝটকাটা এল খোদ ফেসবুক অন্দর থেকেই।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- ধর্ষণের প্রতিবাদ, পার্লামেন্টে অন্তর্বাস নিয়ে হাজির আইরিশ মহিলা সাংসদ


সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমসের রিপোর্ট অনুযায়ী, ফেসবুকের সিইও মার্ক জু়কারবার্গের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, রিপাবলিকান ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক পরামর্শদাতা সংস্থা এবং পিআর ‘ডেফিনার্স পাবলিক অ্যাফায়ার্স’কে ভাড়া করেছে ফেসবুক। লগ্নীকারীরা দাবি করেন, দায়িত্ব নিয়ে ফেসবুকের দুর্নাম ছড়ানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। ফেসবুকের অন্যতম অংশীদার ট্রিলিয়াম অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট জোনাস ক্রন দাবি করেছেন, এ ধরনের অনৈতিক সিদ্ধান্তে জু়কারবার্গের পদত্যাগ করা উচিত। জোনাস মন্তব্য করেন, ফেসবুক যেন একটি ‘তুষার কণা’র মতো ব্যবহার করছে। একক সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। ফেসবুক একটি কোম্পানি। সিইও ও চেয়ারম্যানের পদের পার্থক্য বুঝতে হবে। ফেসবুকের আরও একটি লগ্নীকারি অর্জুন ক্যাপিটালের নাতাশা ল্যাম্ব বলেন, চেয়ারম্যান এবং সিইও-র যৌথ সিদ্ধান্তে সংস্থার অন্দরের সমস্যা সমাধান করতে পারে ফেসবুক।


আরও পড়ুন- সঙ্কটে ব্রেক্সিট, অন্ধকারে টেরেজার ভবিষ্যত-ও


যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খারিজ করেছেন মার্ক জু়কারবার্গ। তিনি দাবি করেছেন, ডেফিনার্স পাবলিক অ্যাফায়ার্স  সংস্থা সম্পর্কে তিনি অবগত ছিলেন না। খবর জানতে পারার পর ওই সংস্থার সঙ্গে কাজ না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মার্কিন নির্বাচনে রুশ প্রভাব কিংবা অ্যানালিটিকা বিতর্কে ফেসবুক যখন কাঠগড়ায় দাঁড়িয়েছে, সংস্থার শেয়ার দর তড়তড়িয়ে পড়েছে। জু়কারবার্গের পদত্যাগের চাপ বাড়তেই শুক্রবার শেয়ার দল পড়ল ৩ শতাংশ।