নিজস্ব প্রতিবেদন : আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রৌহানি। রেভোলিউশনারি গার্ড কর্পসের কাদ্‌স ফোর্সের কমান্ডার জেনারেল কাসেম সোলেমানিকে নিকেষ করেছে আমেরিকা। তার পরই রৌহানি বলেছিলেন, এই হত্যার জন্য আমেরিকাকে বড় মূল্য চোকাতে হবে। কিন্তু ট্রাম্পের দেশ সেই হুমকিতে কান দেয়নি। সোলেমানির শেষ যাত্রার আগেই দ্বিতীয়বার হামলা চালিয়ে ছয়জন ইরানপন্থী যোদ্ধাকে শেষ করেছিল আমেরিকা। আর তার পরই ওয়াশিংটনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছে তেহরান। তলে তলে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছে ইরান। আর তার ইঙ্গিত তারা দিয়ে রাখল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ইরানের জামকরন মসজিদের মাথায় লাল ঝাণ্ডা উড়তে দেখা গিয়েছে। যার অর্থ, দেশের জনগণকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হতে বলা। অথবা ইতিমধ্যেই যুদ্ধের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। এদিন সকাল থেকেই জামকরন মসজিদের মাথায় লাল ঝাণ্ডা উড়তে দেখা গিয়েছে। সাধারণত অন্য সময় জামকরন মসজিদের মাথায় ধর্মীয় পতাকা দেখা যায়। কিন্তু মসজিদের চূড়ায় লাল ঝাণ্ডা লাগিয়ে দেওয়ার মানে যুদ্ধের ঘোষণা করা। এর আগে ইরান ও ইরাকের মধ্যে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে তৈরি হয়েছিল। তখনও এই মসজিদের চূড়ায় লাল ঝাণ্ডা উড়তে দেখা গিয়েছিল।


আরও পড়ুন-  বাগদাদে মার্কিন সেনাঘাঁটি লক্ষ্য করে পর পর দু’টি রকেট হামলা


হুসেন সাহেব কারাবালা যুদ্ধের সময় মসজিদের উপর লাল ঝাণ্ডা উড়িয়ে ছিলেন। লাল রং রক্ত ও ত্যাগের প্রতীক। তাই সোলেমানির মৃত্যুর পর বদলা নেওয়ার জন্য ইরান এই পতাকা মসজিদের উপর উড়িয়েছে। এদিকে, ইরাকের এলিট রেভোলিউশনারি গার্ডস-এর কমান্ডার আবুহামজে জানিয়েছেন, মার্কিন সেনার ৩৫টি ঘাঁটিতে তাঁদের নজর রয়েছে। এর পর আমেরিকা কোনওরকম বাড়াবাড়ি করলে সেই ৩৫টি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। তবে সেই ৩৫টি ঘাঁটির বেশিরভাগ অবস্থিত খনিজ তেলের সম্ভারের মাঝে।