ওয়েব ডেস্ক: সিরিয়ার একপ্রান্তে হেজবুল্লা ও আসাদ বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে আইসিস জঙ্গিদের কোণঠাসা করে ফেলেছে রাশিয়া। অন্যপ্রান্তে আরব ও কুর্দ জোটের সেনাদের নিয়ে আইসিসকে বড়সড় চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে আমেরিকা। মার্কিনিদের সহায়তায় জোট সেনারা ঘিরে ফেলেছে আইসিস ঘাঁটি মানবিজ শহর। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে মানবিজ দখল করে ফেলতে পারে জোট বাহিনী। ফলে আরও সঙ্কটের মুখে আইসিস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আকাশ পথে মার্কিন যুদ্ধবিমানের হামলা গুঁড়িয়ে দিচ্ছে আইসিসের ঘাঁটি, অস্ত্রাগার, সেনা ও পরিবহণ ব্যবস্থা। গ্রাউন্ড লেভেলে ধীরে ধীরে চারপাশ থেকে এগোচ্ছে শহর ঘিরে ফেলছে সশস্ত্র যোদ্ধারা। এভাবেই সাঁড়াশি আক্রমণ চালিয়ে আইসিস জঙ্গিদের হাত থেকে সিরিয়ার মানবিজ শহর ছিনিয়ে নেওয়ার পথে এগোচ্ছে আরব ও কুর্দ সেনাদের জোট।


লডাই চলছে প্রতিটি রাস্তা, প্রতিটি বাড়ির জন্য। এক পা এক পা করে এগোচ্ছে জোট। দুহাজার চোদ্দ থেকে মানবিজ শহর আইসিসের দখলে। তবে জুন মাস থেকে অভিযান চালিয়ে মানবিজ ঘিরে ফেলেছে জোটের সেনারা। কিন্তু  জমি ছাড়তে রাজি নয় আইসিসও। মরণপন প্রতিরোধে নেমেছে তারা। আটচল্লিশ ঘণ্টার মধ্যে খালি করে দিতে হবে শহর। আইসিসকে চরমসীমা দিয়েছে জোট। না হলে শুরু হবে শহর দখলের লড়াই।


দুপক্ষের মরণপণ যুদ্ধের মাঝে পড়ে বিপন্ন মানবিজের নাগরিকেরা। আইসিসের অত্যাচারের ভয়ে শহর ছেড়েছেন তারা। তাঁদের অবস্থা কার্যত উদ্বাস্তুদের মতো। গত কয়েকদিন ধরে মেলেনি এক কণা খাবার। কার্যত অনাহারে দিন কাটছে তাঁদের। কাউকে সামনে পেলেই ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন তাঁরা। আবার খাবার পাওয়া যাবে শুনলেই ছুটছেন দিকবিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে। শহরে ঢুকলে খুন করবে আইসিস। শহর ছাড়লে মরতে হবে অনাহারে। উভয় সঙ্কটে পড়ে তাঁদের অবস্থা রীতিমতো শোচনীয়।


এই 'হট' সুন্দরীর রূপেই নাকি মজেছে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী থেকে রাষ্ট্রপতি


এরই মাঝে সিরিয়ার সরকারি কর্তৃপক্ষ চেষ্টা করছে প্রয়োজনীয় রসদ পৌছে দেওয়ার। এই পরিস্থিতিতে মানবিজের দক্ষিণ শহরতলি কবজায় এনে ফেলেছে জোট সেনারা। কয়েকদিনের মধ্যেই শুরু হবে চূড়ান্ত অভিযান। নিঃশব্দে চলছে তার প্রস্তুতি। মানবিজের পতন হলে আইসিসকে একেবারে তুরস্ক সীমান্তের কাছে ঠেলে নিয়ে যাবে জোট বাহিনী। সীমান্তের ওপারে প্রস্তুত আইসিস ন্যাটোর শরিক এরদোগানের সেনারা। সিরিয়া সীমান্তে এভাবে মরণফাঁদে পড়েই ইউরোপের বিভিন্ন শহরে মরিয়া সন্ত্রাস চালাচ্ছে আইসিস।