নিজস্ব প্রতিবেদন: আফগানিস্তানের (Afghanistan) উত্তরাঞ্চলীয় শহর কুন্দুজে (Kunduz) ইসলামিক স্টেট আত্মঘাতী বোমা হামলায় শুক্রবার একটি শিয়া মসজিদ ধ্বংস করে, সংখ্যালঘুদের হাজারা জাতির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের এই মারাত্মক হামলায় বেশ কিছু উপাসক নিহত হয়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এক তালিবান (Taliban) কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আফগানিস্তানের (Afghanistan) উত্তরাঞ্চলের কুন্দুজ (kunduz) প্রদেশে শিয়া মুসলিম উপাসকদের নিয়ে একটি মসজিদে শুক্রবার বিস্ফোরণ ঘটে। কুন্দুজ (kunduz) প্রদেশের ডেপুটি পুলিশ প্রধান দোস্ত মহম্মদ ওবাইদা (Dost Mohammad Obaida) বলেছেন, আক্রমণের ফলে অভিকাংশ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তিনি বলেন, মসজিদের ভেতরে নামাজীদের মধ্যে মিশে থাকা আত্মঘাতী হামলাকারীর দ্বারা এই হামলা চালানো হয়ে থাকতে পারে। ওবায়দা (Dost Mohammad Obaida) আরও বলেন, তিনি আফগানিস্তানের (Afghanistan) শিয়া ভাইদের আশ্বস্ত করছেন যে তালিবানরা তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রস্তুত। কুন্দুজের (kunduz) তালেবান কর্মকর্তা মাতুল্লাহ রোহানি (Matullah Rohani) স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, হামলায় কমপক্ষে ৪৯ জন নিহত এবং ১৪০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে


আরও পড়ুন: Afghanistan: তালিবানের সঙ্গে প্রথমবার সরাসরি বৈঠকে USA  


মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে এটি মসজিদের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় হামলা। এই ঘটনায় হাজারাদের আশঙ্কাই সত্যি হল যে তালিবান শাসনে তাদের উপর ইসলামিক স্টেটের অত্যাচার লাগামছাড়াভাবে বৃদ্ধি পাবে কারণ অতীতে তালিবানরাই হাজারাদের উপর বহু অত্যাচার করেছে। হামলার কয়েক ঘণ্টা পরে, এই হামলার দায় স্বীকার করে ইসলামিক স্টেট খোরাসান, যা আইএসআইএস-কে (ISIS-K) নামেও পরিচিত। ২৬ আগস্ট কাবুলের (Kabul) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ১৭০ নাগরিক এবং ১৩ মার্কিন সেনা নিহত হওয়ার পর থেকে এটি গ্রুপের সবচেয়ে বড় আঘাত।  


আইএসআইএস-কে (ISIS-K) একটি সুন্নি চরমপন্থী গোষ্ঠী যারা দীর্ঘদিন ধরে আফগানিস্তানে শিয়া মুসলমানদের বিরুদ্ধে হামলা চালিয়ে আসছে।  তারা মূলত হাজারা জাতির সংখ্যালঘুদের উপর বেশি হামলা করে। হাজারারা প্রধানত শিয়া। আফগানিস্তানের অধিকাংশই সুন্নি, এবং জাতিগত ভাবে পশতুন এবং এরাই তালিবানদের অধিকাংশ পদে রয়েছে। আইএসআইএস-কে (ISIS-K) কয়েকদিন আগে রাজধানী কাবুলের (Kabul) একটি মসজিদের বাইরেও হামলা চালিয়েছিল, এতে বেশ কয়েকজন নিহত হন।


আগস্টের শেষের দিকে মার্কিন (USA) ও ন্যাটো (NATO) বাহিনী আফগানিস্তান (Afghanistan) ত্যাগ করার এবং তালিবানরা দেশের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকে এই মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। 


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)