আইএস জঙ্গিদের `যৌন ক্রীতাদাসী`দের কাহিনি
অন্তত পাঁচ হাজার ইয়াজিদি মহিলাদের অপহরণ করে যৌন ক্রীতাদাসে পরিণত করে আইসিস জঙ্গিরা। চোখে ধুলো দিয়ে আইসিস জঙ্গিদের কবজা থেকে মুক্ত হওয়ার পর নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা শোনালেন সেইসব মহিলারা। সেইভান সালিম নামের এক মহিলা ইরাকি ফোটোগ্রাফার কথা বলেন সেইসব ইয়াজাদি মহিলাদের সঙ্গে। তাদের মুখ থেকেই শোনা গেল বেশ কয়েকটি ঘটনার কথা। যা শুনলে গা শিউড়ে ওঠে।
ওয়েব ডেস্ক: অন্তত পাঁচ হাজার ইয়াজিদি মহিলাদের অপহরণ করে যৌন ক্রীতাদাসে পরিণত করে আইসিস জঙ্গিরা। চোখে ধুলো দিয়ে আইসিস জঙ্গিদের কবজা থেকে মুক্ত হওয়ার পর নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা শোনালেন সেইসব মহিলারা। সেইভান সালিম নামের এক মহিলা ইরাকি ফোটোগ্রাফার কথা বলেন সেইসব ইয়াজাদি মহিলাদের সঙ্গে। তাদের মুখ থেকেই শোনা গেল বেশ কয়েকটি ঘটনার কথা। যা শুনলে গা শিউড়ে ওঠে।
বছর কুড়ির এক মহিলা জানালেন তাঁর অভিজ্ঞতার কথা। বাড়ি থেকে জোর করে তাকে ধরে নিয়ে যায় আইএস জঙ্গিরা। তারপর তাকে নিয়ে যাওয়া হয় আইএস ডেরায়। সেখানে এক অন্ধকার ঘরে জনা ৪০০ মহিলাদের সঙ্গে আটকে রাখা হয়েছিল। দশ দিন পর তাদের চোখ বন্ধ করে একটা গাড়িতে ঠাসাঠাসি করে নিয়ে যাওয়া হল এক বাড়িতে। সেখানে তাকে বিক্রি করে দেওয়া হল। এরপর সে অন্তত তিন চার বার বিক্রি হল। একেবার এ দেশ, তো পরের বার আরেক দেশ। সব জায়গাতেই তাকে যৌন ক্রীতদাসি করে রাখা হত। শেষবার যে বুড়োটা তাকে কিনল সে প্রশ্ন করল আরবি রান্না করতে পারে কি না। সে বলেছিল, না সে রান্না করতে জানে না। বুড়ো বলেছিল সে শিখিয়ে নেবে। বুড়োর বাড়িতে যাওয়ার পর তাকে সহ্য করতে হল অন্য রকম অত্যাচার। বুড়োটা বলত, কোনও কাজ করতে হবে না, সে যেন নগ্ন হয়ে তার সামনে সারাদিন দাঁড়িয়ে থাকে। এক রাতে বুড়ো ঘুমিয়ে পড়ার পর সে পালিয়ে যায়।
আইএস জঙ্গিদের কবলে থাকা অন্য এক মহিলা জানালেন ১২ থেকে ১৫ বছরের বালিকাদের যৌন ক্রীতদাসি করে ডেরায় রেখে দেয় আইএস জঙ্গিরা। তাদের ওপর দিনের পর দিন চলে নির্যাতন, ধর্ষণ।