নিজস্ব প্রতিবেদন: নওয়াজ শরিফের কারাদণ্ড খারিজ করে দিল ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। বুধবার নওয়াজের সঙ্গে তাঁর মেয়ে মারিয়ম নওয়াজ এবং জামাই ক্যাপ্টেন মহম্মদ সফদরের কারাবাসের সাজাও খারিজ করে দিয়েছে ওই একই আদালত। গত সপ্তাহে নওয়াজ শরিফের স্ত্রী কুলসুম বেগমের মৃত্যুর খবর আসার পর নওয়াজ, তাঁর মেয়ে ও জামাইয়ের প্যারোল মঞ্জুর হয়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

উল্লেখ্য, অসুস্থ কুলসুম বেগমকে দেখে দেশে ফেরার পর গত ১৩ জুলাই গ্রেফতার হন ৬৮ বছর বয়সী প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ ও তাঁর কন্যা মারিয়ম নওয়াজ (৪৪)। লন্ডনে শরিফ পরিবারের চারটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাটের মালিকানা সংক্রান্ত বিষয়ে দুর্নীতির অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হন তাঁরা। আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তির এই মামলায় বিশেষ আদালত নওয়াজ শরিফকে ১০ বছরের ও তাঁর মেয়েকে ৭ বছরের কারাদণ্ডের সাজা শোনায়। শরিফ ও তাঁর মেয়ে দু'জনেই দাবি করেন, তাঁরা কোনও আইন ভাঙেননি এবং এমনও কোনও প্রমাণ নেই যা থেকে বোঝা যায়, লন্ডনের ওই সম্পত্তি বেআইনি উপার্জনে কেনা হয়েছে। পাক আদালত যখন এই রায় দিয়েছিল, সে সময় ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে লন্ডনে চিকিত্সারত কুলসুম বেগমের কাছে ছিলেন তাঁর স্বামী ও মেয়ে। এরপর ২৫ জুলাই পাক সাধারণ নির্বাচনের প্রাক্কালে পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএলএন)-এর কর্মী সমর্থকদের ভরসা যোগাতে মিছিলে ও জনসভায় অংশ নিতে দেশে ফেরেন সকন্যা নওয়াজ। আর দেশে ফিরতেই তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। আরও পড়ুন- ট্রাম্পের সঙ্গে যৌনতায় সুখ নেই: স্টর্মি ড্যানিয়েলস


প্রসঙ্গত, নওয়াজ শরিফকে রাখা হয়েছিল রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা জেলে। আর প্রথম থেকেই পিএমএলএন কর্মীদের দাবি, শরিফের সঙ্গে জেলে অত্যন্ত অমানবিক ব্যবহার করেছে সরকার। উল্লেখ্য, জেলে থাকাকালীন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রীর স্বস্থ্য ভেঙে পড়ে। এমনকি, হৃত্পিণ্ডের সমস্যা নিয়ে তাঁকে পাকিস্তান ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্স-এর ভর্তিও করা হয়। হাসপাতালের যে অংশে চিকিত্সাধীন ছিলেন এই নেতা, সেটিকে 'সাব-জেল' হিসাবে ঘোষণা করেছিল পাক প্রশাসন। কোনও ব্যক্তিকে এ সময় শরিফের সঙ্গে দেখা করতেও দেওয়া হত না। পরবর্তীকালে শরিফের শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে, তাঁকে ফের আদিয়ালা জেলে ফিরিয়ে আনা হয়।