ধর্মান্তরণের শিকার ২ হিন্দু নাবালিকাকে নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ পাক আদালতের
গত ২০ মার্চ হোলির দিন সিন্ধু প্রদেশের দহরকি নগরের হাফিজ় সলমন গ্রামের বাসিন্দা ১৩ বছরে রবিনা ও ১৫ বছরে রীনাকে অপহরণ করে বেশ কিছু দুষ্কৃতী
নিজস্ব প্রতিবেদন: পঞ্জাব প্রদেশের সরকারকে পাকিস্তানে ২ সংখ্যালঘু হিন্দু নাবালিকার নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দিল ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। ওই ২ নাবালিকাকে অপহণ এবং ধর্মান্তরিত করে বিয়ে দেওয়ার অভিযোগে গতকাল ৭ জনকে গ্রেফতার করে পঞ্জাব প্রদেশের পুলিস। রবিবারও সিন্ধুপ্রদেশের খানপুর থেকে এক মৌলবিকে গ্রেফতার করা হয়। জানা যায়, ওই মৌলবিই ২ কিশোরীকে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে।
উল্লেখ্য, গত ২০ মার্চ হোলির দিন সিন্ধু প্রদেশের দহরকি নগরের হাফিজ় সলমন গ্রামের বাসিন্দা ১৩ বছরে রবিনা ও ১৫ বছরে রীনাকে অপহরণ করে বেশ কিছু দুষ্কৃতী। এর পর তাদের ইসলামে ধর্মান্তিরত করা হয়। এমনকি জোর করে বিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ওঠে। সেই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই সমালোচনার ঝড় ওঠে বিভিন্ন মহলে। পাকিস্তানে সংখ্যালঘুর উপর অত্যাচারে সরব হন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। রিপোর্ট তলব করেন পাকিস্তানে অবস্থিত ভারতের হাই কমিশনারের কাছ থেকে।
আরও পড়ুন- মোদীর হাতেই দেশ সুরক্ষিত, বিজেপিতে যোগ দিয়ে বললেন জয়াপ্রদা
এই ঘটনা ‘অভ্যন্তরীণ’ বিষয় বলে দাবি করে ভারতের পদক্ষেপের সমালোচনা করেন পাক তথ্যমন্ত্রী ফুয়াদ চৌধুরি। এর পরই তাঁর সঙ্গে ‘বাকযুদ্ধ’ বেধে যায় ভারতের বিদেশমন্ত্রীর। খোদ পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান নরম মনোভাব দেখিয়ে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন। বিদেশমন্ত্রক সূত্রে খবর, এই ঘটনার পর ভারত পাকিস্তানকে 'নোট ভারবাল' জারি করে সেই দেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও কল্যাণে তত্পর হওয়ার পরামর্শ দেয়।