তিউনিশিয়ার জাদুঘরে হামলা `বৃষ্টির প্রথম ফোঁটা`: ইসলামিক স্টেট
তিউনিশিয়ায় জাদুঘরে হামলার দায়স্বীকার করল জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট। এই ঘটনাকে বৃষ্টির প্রথম ফোঁটা বলে ব্যাখ্যা করেছে তারা। জাদুঘরে বন্দুকবাজের হামলায় মৃত ২০ জনের মধ্যে রয়েছেন জাপানিজ, ইটালিয়ান, স্প্যানিশ ও ব্রিটিশ পর্যটকরা।
ওয়েব ডেস্ক: তিউনিশিয়ায় জাদুঘরে হামলার দায়স্বীকার করল জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট। এই ঘটনাকে বৃষ্টির প্রথম ফোঁটা বলে ব্যাখ্যা করেছে তারা। জাদুঘরে বন্দুকবাজের হামলায় মৃত ২০ জনের মধ্যে রয়েছেন জাপানিজ, ইটালিয়ান, স্প্যানিশ ও ব্রিটিশ পর্যটকরা।
জাদুঘরের আধিকারিকরা হামলার পর জঙ্গি সংগঠনকে চিহ্নিত করতে না পারলেও গুলিতে দুই বন্দুকবাজেরই মৃত্যু হয়েছিল। তিউনিশিয়া সরকার জানিয়েছে লিবিয়ার এক জিহাদি শিবিরে ট্রেনিং দেওয়া হয়েছিল এই দুই জঙ্গিকে। আভ্যন্তরীণ বিষয়ক মন্ত্রী রফিক চেল জানান তিউনিশিয়ার একটি মসজিদে নিযুক্ত করার পর গত সেপ্টেম্বর মাসে তাদের লিবিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়। ক্রজ লাইনার এমএসসি ক্রুজ জানিয়েছে তাদের ১২ জন যাত্রী মৃত পর্যটকদের মধ্যে রয়েছেন। এরা যাথাক্রমে কলম্বিয়া, ফ্রান্স ও বেলজিয়াম থেকে এসেছিলেন। অন্যদিকে সারারাত জাদুঘরে লুকিয়ে থেকে রক্ষা পেয়েছেন এক স্প্যানীশ দম্পতি।
বাস থেকে নেমে জাদুঘরে ঢোকার পথেই হত্যা করা হয় ৮ জন পর্যটককে। বাকি ১০ জনকে প্রথমে আটক করে পরে হত্যা করা হয়। ঘটনায় আহত হয়েছেন ২২ জন। নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে ২ বন্দুকবাজের মৃত্যু হলেও আরেক বন্দুকবাজ পালিয়ে গিয়েছে বলে মনে করছে পুলিস। পর্যটকরা পোল্যান্ড, ইটালি, জার্মানি ও স্পেন থেকে এসেছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
এদিন দুপুরে যখন শয়ে শয়ে পর্যটক মিউজিয়াম দেখতে আসেন সেইসময়ই প্রথম গুলির আওয়াজ শোনা যায়। তিউনিশিয়ার স্থানীয় সময় তখন দুপুর সাড়ে ১২টা। বিকেল নাগাদ হেলিকপ্টারে উদ্ধার করা হয় আহতদের। জাদুঘরের আধিকারিকরা মনে করছেন সংসদই ছিল হামলার মূল লক্ষ্য।