নিজস্ব প্রতিবেদন: মধ্যপ্রাচ্যে বিশ্বের একমাত্র ইহুদি দেশ ইসারেলে আবারও রাজনৈতিক সমস্যা শুরু হয়েছে। সোমবার নাফতালি বেনেটের নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের মধ্যে হঠাৎ সমস্যার সূত্রপাত হয়েছে। এর পরেই জোটে থাকা দুই দলই জোট ভেঙে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। তবে আপাতত তত্ত্বাবধায়ক সরকার থাকবে এবং অক্টোবরে নতুন নির্বাচন হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জানা গিয়েছে নাফতালি বেনেট এবং বিদেশমন্ত্রী ইয়াইর ল্যাপিডের মধ্যে গত নির্বাচনের পরে একটি চুক্তি হয়। উভয়েই একসঙ্গে অর্ধেক মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর পদে থাকবেন বলে জানানো হয় চুক্তিতে। এরপরে দুজনে মিলে জোট সরকার গঠন করেন। ইসরায়েলের আরব পার্টিও এই জোটে যোগ দেয়। চুক্তির মাধ্যমে, নাফতালি বেনেট প্রাথমিকভাবে প্রধানমন্ত্রী হন এবং ইয়াইর ল্যাপিড বিদেশমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন।


তিন দলের এই জোট সংখ্যাগরিষ্ঠতার থেকে অঙ্কে মাত্র এক পয়েন্ট এগিয়ে ছিল। এই অবস্থায় দীর্ঘদিন ধরেই মনে করা হচ্ছিল যে এই জোট ভেঙে যাবে এবং সরকারের পতন হবে। তিন দলের মধ্যে ক্রমবর্ধমান মতপার্থক্য এই আশঙ্কাকে আরও গভীর করে তোলে।


প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট এবং বিদেশমন্ত্রী ইয়াইর ল্যাপিড একসঙ্গে জোট ভেঙে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। তাদের যৌথ বিবৃতিতে দুজনে জানিয়েছে, সংসদ ভেঙে দিতে একটি বিল আনবেন তাঁরা। এরপর অক্টোবরে নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। 


তবে চুক্তির ভিত্তিতে নাফতালি বেনেট আগামী মাসে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়াবেন এবং ইয়াইর ল্যাপিড নতুন প্রধানমন্ত্রী হবেন। তার নেতৃত্বেই ইসরায়েলে নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।


আরও পড়ুন: World Music Day 2022: এ শুধু গানের দিন; গানে গানে বন্ধন যাক ঘুচে


শেষ কিছু বছর ধরে ইসরায়েলে রাজনৈতিক সমস্যা চলছে। গত চার বছরে পাঁচ বার নির্বাচন হয়েছে সেখানে। কিন্তু নির্বাচনে কোনও দলই সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করতে পারেনি। 


প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এবং বর্তমান বিরোধী নেতা বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ক্রমাগত ক্ষমতায় ফেরার চেষ্টা করছেন।  


(পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর)