নিজস্ব প্রতিবেদন: একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ দায়ের হল ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানেইয়াহুর বিরুদ্ধে। ঘুষ নেওয়া, জালিয়াতি এবং বিশ্বাসভঙ্গের তিনটি পৃথক অভিযোগ উঠেছে বেঞ্জামিনে বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে দীর্ঘ সময় ধরে তদন্তের পর এই অভিযোগ এনেছেন ইসরায়েলের অ্যাটর্নি জেনারেল আভিচাই ম্যান্ডেলব্লিট। ইসরায়েলের ইতিহাসে এমন ঘটনা প্রথম।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে উপহার হিসেবে ২ লাখ ৬৪ হাজার মার্কিন ডলার মূল্যের জিনিস নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নেতানেইয়াহু। উপহারের বদলে বেশ কিছু সুবিধা পাইয়ে দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। ইসরায়েলের একটি সংবাদমাধ্যমে এই ঘটনাটি প্রকাশিত হয়। তারপরেই আইন ও বিচার মন্ত্রকের নজরে আসে নেতানেইয়াহুর দুর্নীতির বিষয়টি।


একটি বিবৃতিতে অ্যাটর্নি জেনারেল সংবাদমাধ্যমকে বলেন, "এটা ইসরায়েলের জন্য এবং ব্যক্তিগতভাবে আমার জন্যও খুব দুঃখের দিন, এবিষয়ে তিনি আরও বলেন যে, এটি কোনও রাজনৈতিক ইস্য়ু নয়।" উল্লেখ্য, অক্টোবরে মামলার শুনানি চলাকালীন আইনজীবীরা মামলাগুলি বন্ধ করারও চেষ্টা করেছিলে।


২০০৮ সালে প্রধানমন্ত্রীর পদে বসেন বেঞ্জামিন নেতানেইয়াহু। সূত্র অনুযায়ী, তাঁকে এখনই পদত্যাগ করতে হবে এমন কোনও কথা নেই। তবে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাঁর রাজনৈতিক জীবন নষ্ট হতে পারে। কারণ এই অভিযোগ আদালতে প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ ১০ বছর এবং সর্বনিম্ন চার বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন বেঞ্জামিন নেতানেইয়াহু। আদালতে কী হবে এখন সেটাই দেখার। সবমিলিয়ে প্রধানমন্ত্রী নেতানেইয়াহুর বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগে শঙ্কার মুখে  ইসরায়েলের।