নিজস্ব প্রতিবেদন: ভারতের জবাবে ব্যতিব্যস্ত পাকিস্তান। নিয়ন্ত্রণরেখায় দিনের পর দিন ‘গোলাগুলির’ বিরুদ্ধে পাল্টা মুখ খুলেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পাক প্রধানমন্ত্রী রবিবার এনিয়ে টুইট করেছেন। তাঁর অভিযোগ, ভারতীয় সেনা নিয়ন্ত্রণরেখা পার করে দিনের পর দিন হামলা চালাচ্ছে। ওই হামলার শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।  হামলার মাত্রা ক্রমে বেড়েই চলেছে।  রাষ্ট্রসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের উচিত এনিয়ে ভারতকে সতর্ক করা। নিয়ন্ত্রণরেখার অন্যদিকে তারা যাতে হামলা না চালায় তা নিয়ে ভারতকে সতর্ক করা উচিত।




আরও পড়ুন-নির্ভয়ার দোষীদের ফাঁসি! 'পবন জল্লাদ'কে চাই, জানিয়ে দিল তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষ


উল্লেখ্য, কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদের পরও সেখানে আরও সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।  তার পরই সীমান্ত পার করে পাক গোলাগুলির খামতি নেই। সেই গোলাগুলির মৃত্যু হচ্ছে সাধারণ মানুষের। ইমরান খান যে দাবি করছেন তা ঘটছে ভারতের সঙ্গেও। গত সপ্তাহেই গুরেজ সেক্টরে সেনার ৬ মালবাহকের ওপরে হামলা চালায় পাক সেনা। তাদের গুলিতে মৃত্যু হয় ২ জনের। এদের মধ্যে একজনের মাথা কেটে নেওয়াও হয়। আশঙ্কা  করা হচ্ছে ওই কাজ করেছে পাক সেনার বর্ডার অ্যাকশন টিম। এর আগে ওই কাজা করেছে পাক সেনা। মাথা কাটা হয়েছে ভারতীয় জওয়ানের।


রবিবার ইমরান খান আরও একটি টুইটে বলেছেন, আন্তর্জাতিক মহল ও ভারতকে একটি বিষয় স্পষ্ট করে দিতে চাই, নিয়ন্ত্রণরেখার ওপার থেকে টানা হামলা করা হচ্ছে। এই জিনিস চলতে থাকলে পাকিস্তানের পক্ষে নীরব দর্শক হয়ে থাকা অসম্ভব।


আরও পড়ুন-রবিবারের সকালে শহরে ফের অগ্নিকাণ্ড, কাঁকুরগাছিতে বহুতলে আগুন


প্রসঙ্গত, জঙ্গিদের উপদ্রব নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চাপ, দেশের ভেঙেপড়া অর্থনীতি সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রবল চাপে রয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী। জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে দেওয়ার বিরুদ্ধে জনমত গঠন করতে চেয়েছিলেন ইমরান। তা সফল হয়নি। দেশের আর্থিক উন্নতির জন্য বিশেষ কোনও প্রকল্প আনতে পারেননি। এমতাবস্থায় তাঁর হাতে পুরনো অস্ত্র সেই ভারত। তাই নিয়ন্ত্রণরেখায় হামলার কথা তুলছেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।