নিজস্ব প্রতিবেদন: মায়ের কোলে নিরাপদ শিশু। সন্তানের সঙ্গে আবেগঘন মুহূর্তের এমন একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতেই বিতর্কে জড়ালেন ট্রাম্পকন্যা ইভাঙ্কা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কিন্তু, বিতর্ক কেন?  


মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে এই মুহূর্তে নিখোঁজ প্রায় দেড় হাজার শরণার্থী শিশু। এই খবর সামনে আসতেই শিশুদের ভবিষ্যত নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এই মুহূর্তে অভিভাবকহীন ওইসব শিশুরা কোথায়, কী অবস্থায় রয়েছে, পাচারকারীদের খপ্পরে পড়ে তারা বিপথে চালিত হয়েছে কি না, এমন আশঙ্কায় সমাজের বিভিন্ন মহল। এমতাবস্থায় ইভাঙ্কার এমন মাতৃসুলভ রূপ প্রকাশ পেতেই ক্ষোভের মুখে পড়েছেন তিনি।


আরও পড়ুন- নির্বাচনের আগে ‘তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী’র পদে অবসরপ্রাপ্ত পাক বিচারপতি মুলক



সম্প্রতি স্বাস্থ্য এবং জন পরিষেবা দফতরের কর্তা স্টিভেন ওয়াগনার এক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, ১,৪০০ শরণার্থী শিশুর কোনও খোঁজ পাচ্ছে না প্রশাসন। উল্লেখ্য, ‘অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ’ করা বা ‘সীমান্ত এলাকা থেকে উদ্ধার অভিভাবকহীন’ কয়েক হাজার শিশুকে পাঠানো হয়েছিল বিভিন্ন হোমে। কিন্তু খোঁজ নিতে গিয়ে দেখা যায় এরমধ্যে ১,৪০০ শিশুর কোনও হদিস নেই। এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই প্রবল সমালোচনার মুখে পড়তে হয় ট্রাম্প প্রশাসনকে। এদিকে, ট্রাম্পের বিশেষ উপদেষ্টা হিসাবে কাজ করেন ইভাঙ্কা। ফলে, ইভাঙ্কার উপরেও গোটা ঘটনার দায় বর্তেছে বলে মনে করা হচ্ছে।



আরও পড়ুন- যে জেলে গান্ধী-নেহেরুকে বন্দি করা হয়েছে, সেখানে মালিয়া নয় কেন?


রবিবার নিজের সন্তানকে আদর করার মুহূর্তের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন ইভাঙ্কা ট্রাম্প। এরপরই মার্কিন কমেডিয়ান প্যাটন ওসওয়াল্ট তাঁর টুইটে প্রশ্ন তোলেন, মায়ের কোলহারা ওইসব শিশুরা কোথায় ও কেমন আছে তা জেনে নিয়ে যদি নিজের সন্তানকে এমন আদর করতেন তাহলে ভাল হত না কি? মনে হয় সেটাই সবচেয়ে ভাল হত। কি বলেন ইভাঙ্কা? ংনেটিজেনদের অনেকেই জানতে চেয়েছেন, কোথায় রয়েছে শরণার্থী শিশুরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় #WhereAreTheChildren নামে একটি হ্যাসট্যাগও রীতিমত ‘ট্রেন্ডিং’ হয়েছে।



আরও পড়ুন- তরতরিয়ে পাঁচ তলায় উঠে বাঁচালেন শিশুর প্রাণ, রাতারাতি প্যারিসের হিরো 'স্পাইডারম্যান'


প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি প্রয়োগের নির্দেশ দেন মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল জেফ সেসনস। মেক্সিকো এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্তে ‘অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করা’ শরণার্থীদের সন্তানদেরকে আটক করা হবে বলে জানানো হয়েছে। ট্রাম্প সরকারের এই নীতিকে অমানবিক বলে আখ্যা দিয়েছে বিভিন্ন মহল। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্টের কথায়, “আমারা তাদের দেশে ঢুকতে বলিনি। তারা কারা, কোথা থেকে আসছে, কী অভীষ্ট নিয়ে এ দেশে ঢুকছে, সে বিষয়ে আমাদের কোনও ধারণা নেই। তারা খুনি না মাদক পাচারকারী? তাদের পরিচয় আমাদের কাছে স্পষ্ট নয়।”