ওয়েব ডেস্ক: একাত্তরে জামাতের ছাত্রনেতা মির কাসেম চট্টগ্রামে মহামায়া ভবন নামে একটি বাড়ি দখল করেন। সেই বাড়িতেই ডালিম হোটেল বানান কাসেম। মুক্তিযোদ্ধা ও সংখ্যালঘু হিন্দু যুবকদের ধরে নিয়ে গিয়ে সেখানে নির্যাতন করে হত্যা করা হত বলে অভিযোগ। দেহ ফেলে দেওয়া হত কর্ণফুলি নদীতে। পাক সেনাবাহিনী ঢাকায় ভারতীয় সেনার কাছে আত্মসমর্পণের আগের রাতে কাসেম ও তার বাহিনী পালিয়ে গেলে স্থানীয় বাসিন্দারা এই হোটেল দখল করে বন্দিদের মুক্ত করেন। এরপর গা ঢাকা দেওয়া কাসেম সেনা শাসক জিয়াউর রহমানের আমলে ফের প্রকাশ্যে রাজনীতি শুরু করেন।


আরও পড়ুন- জঙ্গি দমনে ফের বড় সাফল্য পেল হাসিনা সরকার


সরকারি হিসেব অনুযায়ী কাসেমের সম্পদের পরিমাণ ১২ হাজার কোটি টাকা। বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করতে তিনি কোটি কোটি টাকা খরচ করে আন্তর্জাতিক লবিস্ট সংস্থা নিয়োগ করেন। বাংলাদেশে সাম্প্রতিক জঙ্গি হানার পেছনেও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ ও কামেসের ফাঁসি রদের উদ্দেশ্য ছিল বলে দাবি করেছেন গোয়েন্দারা।