নিজস্ব প্রতিবেদন: কিমের সুমতি! সোমবার, উত্তর কোরিয়ায় ‘দ্য ডে অব সান’ উত্সবে যে দৃশ্য দেখল বিশ্ব, তাতে এই কথাই ঘুরে ফিরে আসছে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক শিবিরে। ফি বছর উত্তর কোরিয়ায় সবচেয়ে বড় উত্সবে মিলিটারি প্যারেড, যুদ্ধ বিমানের মহড়া দেখতে অভ্যস্থ সে দেশের নাগরিকরা। কিন্তু এবার উত্সব যেন ভিন্ন মেজাজের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- তিন দশক পর বরফ গলাতে ‘বফর্সের দেশে’ মোদী


‘সান ফেস্টিভ্যালে’ মূল আকর্ষণ ছিল আমন্ত্রিত চিনা নাচের দল। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে দেখা গিয়েছে, সেই নাচের দলের সঙ্গে খোস মেজাজে সময় কাটাচ্ছেন সস্ত্রীক কিম। চিনা কমিউনিস্ট পার্টির আন্তার্জাতিক সম্পর্ক রক্ষাকারী দফতরের প্রধান সং তাও-এর সঙ্গে এক প্রস্থ নাচতে দেখা গিয়েছে কিমের স্ত্রী রি সল জু-কে। এই দিনটি এবার শুধুই আতসবাজি, নাচ-গান, খেলায় মজেছিল কিমের দেশ। আর এসব দেখে স্বভাবতই বিস্মৃত বিশ্ব।



কেন?


১৫ এপ্রিল প্রতি বছর ‘দ্য ডে অব সান’ উত্সব উদযাপিত হয় উত্তর কোরিয়ায়। ১৯১২ সালে কিম ইল সাংয়ের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত হয় কিম রাজত্ব। এই দিনটিকে ‘উত্তর কোরিয়ার প্রতিষ্ঠা দিবস’ হিসাবেও পালন করা হয়। ক্ষমতায় এসে প্রতি বছর এই দিনে সামরিক মহড়া করেন কিম। পরমাণু হামলার হুমকি দিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে জল মাপার চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু এ বারে চিত্র ছিল একেবারেই আলাদা।


আরও পড়ুন- তিন দশক পর বরফ গলাতে ‘বফর্সের দেশে’ মোদী


উল্লেখ্য, ২০১৭-র মাঝামাঝি থেকেই উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের গলায় নরম সুর শোনা গিয়েছে। প্রতিবেশী দেশ দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক উন্নতিতে শীতকালীন অলিম্পিক্সে  অংশগ্রহণ করে উত্তর কোরিয়া। সম্প্রতি চিন সফর করেন স্বয়ং কিম জং-উন। তাঁর প্রথম বিদেশ সফরে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের কাছে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের আশ্বাসও দেন তিনি। এখানেই শেষ নয়, দুনিয়াকে অবাক করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করার আগ্রহও প্রকাশ করেন কিম। তাঁর সফর তালিকায় যে দক্ষিণ কোরিয়াও রয়েছে সে কথাও জানান উত্তর কোরিয়ার একনায়ক। কিম যে আন্তর্জাতিক স্তরে সুসম্পর্ক গড়তে আগ্রহী, সোমবারের ‘সান ফেস্টিভ্যালে তাঁর শরীরি ভাষা থেকেই তা স্পষ্ট হয়েছে বলে মনে করছেন কূটনীতিক বিশেষজ্ঞরা।


আরও পড়ুন- তিন দশক পর বরফ গলাতে ‘বফর্সের দেশে’ মোদী