ওয়েব ডেস্ক : রাজার অসুখ! তিনি কম বয়সেই বেশ মোটা। কেমন যেন গাবলুগুবলু। রাজকীয় ব্যাপারটাই নেই। তাই মোটা থেকে রোগা হতে চান উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন। রোগা হওয়ার যন্ত্র আসছে আমেরিকা থেকে। কিম আবার উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনীর সর্বাধিনায়ক। জওয়ানদের তাঁর নিদান, ছিপছিপে হতেই হবে। পারিষদরা বেশ ভয়ে ভয়ে রয়েছেন, যদি রাজা---মাথা উড়িয়ে দেওয়ার নিদান দেন!


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ভয়ে থাকারই কথা। কারণ রাজার ভারী রাগ। কখন যে কী করেন--খোদাও মালুম করতে পারেন বলে মনে হয় না। আদতে রাজার একটা অসুখ হয়েছে। রাজা মানে যে সে রাজা নন। তিনি কিম জং উন। তিনি উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা। রাষ্ট্রপ্রধান। তাঁর মনে হয়েছে তিনি বেশ মোটা। থলথলে। যেই মনে হয়েছে---সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তার, বদ্যি, কবিরাজ কমতি কিসে। দলে দলে আসে--আর ফিরে যায়। কিন্তু, রোগ সারে না। অবশেষে যুক্তি করে পারিষদরা বুদ্ধি বের করেছেন। বিদেশ থেকে আসছে যন্ত্র। খরচ অনেক। তাতে কী? রাজা যখন-রাষ্ট্রের অর্থ তো রাজারই। পশ্চিমের দেশগুলি উত্তর কোরিয়াকে কমিউনিস্ট রাষ্ট্র গণ্য করলে কী হবে, অনেকের মত মার্কস বাদ লেনিন বাদ নয় উত্তর কোরিয়া চলে কিম বাদে। অনেকের এমন মত হওয়া যে অন্যায় তাই বা বলে কে--কিম  জং উন নিয়ে তো অভিযোগের শেষ নেই, কখন কুকুর লেলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করানোর অভিযোগ, কখনও বিমান বিধ্বংসী কামানের সামনে দাঁড় করিয়ে মৃত্যুদণ্ড। এমনি হাজারো অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। তাই বেশ ভয়ে আছেন পারিষদরা। যদি কিমের অসুখ না সারে। তাহলে কী হবে?  


পারিষদদের ভয় পাওয়ার আরও অনেক কারণ আছে, লোকমুখে কোরিয়ায় প্রচলিত, উত্তর কোরিয়ার কেউ যদি কিমের মতো হেয়ার কাট করে তবে মৃত্যুদণ্ড বাধা। হবেই নাই বা কেন কিম তো এমনি এমনি সর্বোচ্চ নেতা হননি। লোককথায় তিনি ১২ বছর বয়সে স্নাতক, জানেন ডজন খানেক ভাষা। কী জানেন না তিনি? সাবমেরিন চালাতে, বিমান চালাতে, জওয়ানদের শেখাতে পারেন বন্দুক । আর ভয় সেখানেই। যদি বন্দুকের লক্ষ্য পারিষদরাই হন। কিছুদিন আগেই পারিষদরা বলেছিলেন, জওয়ানদের মোটা হওয়া চলবে না। মনে ধরেছিল কিমের। সেই সঙ্গে ধরা পড়েছিল রোগ। রোগটা কিম নিজেই ধরেছিলেন তিনি বেশ মোটা। আর তাতেই বিপত্তি।