নিজস্ব প্রতিবেদন: 'গোপনে'  চিন সফর সারলেন উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন। চিন থেকে ফিরে সংবাদমাধ্যমকে কিম জানালেন, এই সফর ছিল ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। ক্ষমতায় এসে এটাই ছিল কিমের প্রথম বিদেশ সফর। তবে, দক্ষিণ কোরিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্র প্রধানদের সঙ্গেও পরবর্তীকালে সাক্ষাত্ করবেন বলে বেজিং-এ প্রতিশ্রুতি দিয়ে এসেছেন কিম, এমনটাই খবর চিনের সংবাদমাধ্যম সূত্রে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- সঙ্গমের সময় ইভাঙ্কার কথা ভাবেন ট্রাম্প, বিস্ফোরক দাবি আরও এক মডেলের


বুধবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কিম আলোচনা করতে রাজি আছেন বলে টুইটে জানান ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি এদিন জানিয়েছেন, কিমের সফর নিয়ে গতকাল রাত্রে ফোন করেছেন শি জিনপিং। তাঁর কথায় ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাত্ করতে উত্সুক কিম। কিন্তু তা বলে মার্কিন মনোভাব নরম হচ্ছে না। এদিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট সটান জানিয়ে দিয়েছেন, "দুর্ভাগ্যবশত, সাক্ষাত্ না হওয়া পর্যন্ত যে কোনও মূল্যে সব ধরনের নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে তাদের উপর।"


আরও পড়ুন- মার্কিন বিমানবন্দরে পাক প্রধানমন্ত্রীকে পোশাক খুলে তল্লাশি!


এ দিকে চার দিনের চিনা সফরে এসে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণে আশ্বাস দেন কিম। চিনা সংবাদমাধ্যম শিনহুয়া সূত্রে খবর, কিম জানিয়েছেন, কোরিয়া দ্বীপপুঞ্জে ভাল সময় আসছে। তিনি আরও জানান, জেনারেল সেক্রেটারি কিং জং-ইল এবং প্রয়াত প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট কিম ইল-সাংয়ের ইচ্ছা অনুযায়ী দ্বীপপুঞ্জে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণে দায়বদ্ধ উত্তর কোরিয়া।


আরও পড়ুন- বিশ্ব জুড়ে বহিষ্কৃত রুশ কূটনীতিকরা, কোণঠাসা ক্রেমলিন


আন্তর্জাতিক কূটনীতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, পরমাণু নিরস্ত্রকরণের আশ্বাস দিয়ে কিম শান্তির বার্তা দিলেও ধীরে চলো নীতি নিতে চাইছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিমের পরবর্তী পদক্ষেপ পর্যবেক্ষণ করেই এগোতে চাইছেন তিনি। প্রসঙ্গত, এপ্রিলে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইনের সঙ্গে সাক্ষাত্ করতে পারেন কিম। ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে মে মাসে বৈঠক করার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।