King Charles III: তৃতীয় চার্লসের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ, ব্রিটিশ রাজতন্ত্র থেকে আলাদা হওয়ার প্রস্তুতি শুরু এই ৩ দেশে!
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পরে চার্লস এখন রাজা হচ্ছেন কিন্তু তবে তাকে সরকারী রাজ্যাভিষেকের জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হতে পারে। আসলে, এই প্রক্রিয়া দীর্ঘ। এর জন্য রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথকেও প্রায় ১৬ মাস অপেক্ষা করতে হয়েছিল। তিনি ১৯৫২ সালের ফেব্রুয়ারিতে তার বাবার মৃত্যুর পর রানী হন। কিন্তু ১৯৫৩ সালের জুনে তিনি রাজ মুকুট পরার সুযোগ পান।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পর, তার ছেলে তৃতীয় চার্লস রাজা হয়েছেন। কিন্তু রাজা হওয়ার পরেই তাঁর সামনে এসে দেখা দিয়েছে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ। তিনি যে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছেন সেগুলি এই মুহূর্তে তার পক্ষে মোকাবিলা করা সহজ হবে না। আসলে, তিনটি দেশ দীর্ঘদিন ধরে ব্রিটিশ রাজতন্ত্র থেকে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। কিন্তু বর্তমানে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পরে এই বিচ্ছেদের দাবি আরও জোরালো হচ্ছে। যে দেশগুলো রাজতন্ত্র থেকে বিচ্ছিন্ন হতে চায় তাদের মধ্যে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, অ্যান্টিগুয়া-বারবুডা এবং জামাইকা। ২০২৫ সালে এই তিনটি দেশেই গণভোট অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। এই ভোটে এখানকার জনগণ ভোট দিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে তারা ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সঙ্গে থাকতে চায় কি না। তিন দেশই রাজতন্ত্র থেকে বেরিয়ে আসতে চায় বলে মনে করা হচ্ছে।
চার্লসের পথ কঠিন কেন?
অবশ্যই রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পরে চার্লস এখন রাজা হচ্ছেন কিন্তু তবে তাকে সরকারী রাজ্যাভিষেকের জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হতে পারে। আসলে, এই প্রক্রিয়া দীর্ঘ। এর জন্য রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথকেও প্রায় ১৬ মাস অপেক্ষা করতে হয়েছিল। তিনি ১৯৫২ সালের ফেব্রুয়ারিতে তার বাবার মৃত্যুর পর রানী হন। কিন্তু ১৯৫৩ সালের জুনে তিনি রাজ মুকুট পরার সুযোগ পান। আসলে রাজ্যাভিষেক একটি সরকারি কর্মসূচি এবং এর ব্যয়ভার সরকারকেই বহন করতে হয়।
এই অবস্থায় এর সংগঠন রাজার ওপর নির্ভর না করে সরকারের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। এই কারণেই দেরি হয়। এখন চার্লসের জন্য উদ্বেগের বিষয় হল যে যখন তাঁর রাজ্যাভিষেক হবে এবং তিনি পুরোপুরি রাজা হবেন, তখন যে দেশগুলি ব্রিটিশ রাজতন্ত্র থেকে বেরিয়ে আসতে চায় তারা অনেক দূর এগিয়ে যাবে। এই অবস্থায় সাম্রাজ্য রক্ষা করা এত সহজ হবে না বলেই মনে করছেন সকলে। অন্যদিকে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ তার শাসনকালে ১৫টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ছিলেন। অর্থাৎ ১৫টি দেশ তার আমলে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সঙ্গে যুক্ত ছিল।
এখানেও অবস্থা ভাল নয়
কানাডা: কানাডাও ব্রিটিশ রাজতন্ত্রের অধীনে রয়েছে। এখানে জানার বিষয় হল, ৩.৮১ কোটি জনসংখ্যার এই দেশে চার্লসকে রাজা হিসেবে পছন্দ করেন মাত্র ৩৪ শতাংশ মানুষ। অ্যাংস সার্ভেতে দেখা গিয়েছে যে ৬৬ শতাংশ মানুষ একটি গণভোটের কথা বলেছেন। ফরাসি-ভাষী কুইবেকে, ৭১ শতাংশ মানুষ এখন ব্রিটিশ রাজতন্ত্র থেকে বিচ্ছিন্ন হতে চায়।
আরও পড়ুন: Elon Musk: কর্তৃপক্ষ না চাইলেও শেয়ার হোল্ডারদের ভোটে ট্যুইটারের মালিক হচ্ছেন মাস্কই!
অস্ট্রেলিয়া: ১৯৯৯ সালে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত গণভোটে ৫৪ শতাংশ মানুষ ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে বসবাসের ইচ্ছা প্রকাশ করলেও ধীরে ধীরে এখন মানুষের মানসিকতা পরিবর্তন হচ্ছে। এখন মানুষ এর আওতা থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছেন। এই কারণেই এখন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আলবানিজও ব্রিটিশ সাম্রাজ্য ত্যাগের জন্য একজন প্রজাতন্ত্র মন্ত্রী নিয়োগ করেছেন। অস্ট্রেলিয়ায় এর পরে ২০২৫ সালে একটি গণভোট অনুষ্ঠিত হবে।
নিউজিল্যান্ড: নিউজিল্যান্ডও এখন ব্রিটিশ সাম্রাজ্য থেকে বেরিয়ে আসতে চায়। এখানকার জনসংখ্যা প্রায় ৫১ লাখ। এখানে হওয়া একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে ৪২ শতাংশ মানুষ ব্রিটিশ সাম্রাজ্য থেকে বিচ্ছিন্ন হতে চায়। প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্নও কিছুদিন আগে বলেন যে নিউজিল্যান্ড তার জীবদ্দশায় ব্রিটিশ সাম্রাজ্য থেকে আলাদা হতে পারে।