ওয়েব ডেস্ক : রাজনৈতিক শক্তির প্রচ্ছন্ন মদতে, ধর্মের নামে জঙ্গি জিগির নয়। এই উপমহাদেশে জেহাদ চায় আইসিস। তাদের এপিসেন্টার বাংলাদেশ। নিশানায় ভারতও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

১৯৭১-এর পর থেকে বাংলাদেশকে ছায়াযুদ্ধের ঘাঁটি হিসেবেই ব্যবহার করে পাকিস্তান। প্রথম ইউপিএ জমানায় তুঙ্গে ওঠে সেই ছায়া সন্ত্রাস। বাংলাদেশে তখন খালিদা জিয়া সরকার। সরকারে বিএনপির জোটসঙ্গি ছিল কট্টর মৌলবাদী দল জামাত-এ-ইসলামি। ৭১-এর যুদ্ধাপরাধী একাধিক মৌলবাদী নেতা ছিল সেই সরকারের মন্ত্রী। সরকারের সক্রিয় মদতে বাংলাদেশ হয়ে ওঠে ভারত বিরোধী সন্ত্রাসের স্বর্গরাজ্য। বাংলাদেশে একাধিক জঙ্গিশিবির তৈরি হয়, আশ্রয় পায় ভারতের বহু মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গিনেতা। পাকিস্তানের পাশাপাশি চিনও ভারতকে সমস্যায় ফেলতে বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিকে মদত দিত।  বিএনপি জমানায় সীমান্ত পেরিয়ে পশ্চিমবঙ্গ ও উত্তরপূর্ব ভারতে ঢুকত ISI মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। ভারতীয় অর্থনীতিকে দুর্বল করতে জাল নোটের চোরাচালানও হত এই রুটেই।



শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসতেই বদলে যায় ছবিটা। কড়া হাতে জঙ্গিদমন করেন মুজিবকন্যা। আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে বিচার করে ফাঁসিকাঠে ঝোলানো হয় যুদ্ধপরাধী একাধিক জঙ্গিনেতাকে।
প্রতিবেশি দেশে তাড়া খেয়ে সন্ত্রাস ঢুকে পড়েছে আমাদের হেঁসেলে। প্রমাণ করে খাগড়াগড়ের বিস্ফোরণ। সামনে আসে নতুন জঙ্গিগোষ্ঠী জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশ- সংক্ষেপে JMB। সঙ্গে আনসার-উল-বাংলা। এদিকে পশ্চিম দিগন্তে তখন পুঞ্জীভূত হচ্ছে সন্ত্রাসের নতুন মেঘ। কার্যত সেই সময় থেকেই আইসিসের উত্থান।


আরও পড়ুন-রেস্তরাঁ থেকে ২০ জন পণবন্দির দেহ উদ্ধার সেনার, নিহতদের মধ্যে এক ভারতীয় তরুণীও


সন্ত্রাস, নাশকতা, গেরিলা যুদ্ধ নয়। পুরোদস্তুর ইসলামিক রাষ্ট্র, খিলাফত প্রতিষ্ঠার আদর্শ প্রচার করে আসরে নামল আইসিস। ইরাক-সিরিয়ায় তারা সরাসরি যুদ্ধে। বাকি বিশ্বে তাদের নামে সন্ত্রাস।  লোন উলফ ও আইসিস ফ্রাঞ্চাইজি। ইরাক বা সিরিয়ায় এসে লড়তে হবে না। যে যেখানে রয়েছে সেখান থেকেই চলুক জেহাদ। যত বেশি সংখ্যক অমুসলিম বা কাফেরকে হত্যা করাই আসল ধর্মযুদ্ধ। আইসিসের নয়া ফর্মুলা।



ইন্টারনেটকে ব্যবহার করে বিশ্বের প্রতি দেশে শিক্ষিত মধ্যবিত্ত মুসলিম যুবকদের মগজধোলাই করে আইসিস। প্রশাসনিক অভিযানে কোণঠাসা বিভিন্ন জঙ্গিগোষ্ঠীকেও খিলাফতের আদর্শে জাগিয়ে তোলে আইসিস। ভারতে সিমি ও ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের সঙ্গে আইসিসের সরাসরি যোগাযোগের প্রমাণ মিলেছে। সিরিয়ায় জুনুদ-এ-খলিফা-এ-হিন্দ তৈরি করেছে সুফি আরমার।
আইসিসের ভারতীয় শাখায় জুড়ে গেছে আল কায়দা ইন ইন্ডিয়ান সাব কন্টিনেন্ট। বাংলাদেশে JMB এবং আনসার উল বাংলাকেও তাদের নামে সন্ত্রাস চালানোর ছাড়পত্র দিয়েছে আইসিস।
দুই বাংলা জুড়ে ইসলামিক রাষ্ট্র তৈরির উদ্দেশ্যে কাজ করছে JMB-ও।


আরও পড়ুন-১২ ঘণ্টা পার, পণবন্দিদের মুক্ত করতে বাংলাদেশে শুরু কম্যান্ডো অভিযান


মুম্বইয়ে জঙ্গিহানা থেকে শুরু করে হায়দরাবাদের মক্কা মসজিদ বিস্ফোরণ। অতীতের বহু সন্ত্রাসেই পশ্চিমবঙ্গকে এগজিট রুট হিসেবে ব্যবহার করে জঙ্গিরা। এরাজ্যে সরাসরি সন্ত্রাস তেমন হয়নি। কিন্তু, এবার আর নিশ্চিন্ত থাকতে পারছেন না গোয়েন্দারা। কারণ আইসিসের হিটলিস্টে ঢুকে গেছে বাংলা।