সেলিম রেজা ও মোহাম্মদ আলী সুমন, ঢাকা: স্থানীয় মুসল্লি ও বিভিন্ন ইসলামি রাজনৈতিক দলের আপত্তির মুখে বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জে বন্ধ হল দুই দিনব্যাপী ‘মহতী সাধুসঙ্গ ও লালন মেলা’। সদর উপজেলার মধ্য নরসিংহপুর এলাকায় ‘মুক্তিধাম আশ্রম ও লালন একাডেমি’ প্রাঙ্গণে এই মেলার আয়োজন করা হয়েছিল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-মাতৃহারা ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত! মা-কে হারিয়ে শোকস্তব্ধ অভিনেত্রী...


গতকাল ও আজ এই মেলা ও সাধুসঙ্গ হওয়ার কথা ছিল। এ উপলক্ষে কুষ্টিয়াসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সাধু-গুরু ও লালন–ভক্তরা নারায়ণগঞ্জে এসেছিলেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কায় মেলা পরিচালনার অনুমতি দেয়নি বাংলাদেশের প্রশাসন। এতে বিপাকে পড়েন লালন–ভক্তরা। এ নিয়ে লালন–ভক্ত ও নারায়ণগঞ্জের সাংস্কৃতিক কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।


স্থানীয় আইনশৃঙ্খলায় নিয়োজিতরা জানান, বাংলাদেশে লালন মেলা আয়োজন নিয়ে স্থানীয় মসজিদের ইমাম, মুসল্লি ও বাংলাদেশের বিভিন্ন ইসলামি রাজনৈতিক দলের তীব্র আপত্তি আছে। এ জন্য তাঁদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিবেদন চাইলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা আছে বলে পুলিস প্রতিবেদন দেয়। এ জন্য মেলার অনুমতি দেওয়া হয়নি।


মেলার আয়োজক ও স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রতিবছর মধ্য নরসিংহপুর এলাকায় ‘মুক্তিধাম আশ্রম ও লালন একাডেমি’ প্রাঙ্গণে সাধুসঙ্গ ও লালন মেলার আয়োজন করা হয়। এবারও মেলা আয়োজনের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিল আশ্রম কর্তৃপক্ষ। সেই উপলক্ষে গত বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে প্যান্ডেল তৈরি-সহ নানা প্রস্তুতি নেওয়া হয়। কিন্তু মেলা বন্ধের দাবিতে তৌহিদি জনতার ব্যানারে মধ্য নরসিংহপুর এলাকায় বিক্ষোভ কর্মসূচি করেন বাংলাদেশের হেফাজতে ইসলামের নেতা–কর্মীরা। কর্মসূচি থেকে হেফাজতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির আবদুল আউয়াল এই মেলাকে ইমানবিধ্বংসী আখ্যা দিয়ে প্রতিহত করার ঘোষণা করেন। ওই নেতার হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে নারায়ণগঞ্জ শহরের প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে মানববন্ধন করেন মুক্তিধাম আশ্রমের লোকজন ও নারায়ণগঞ্জের সাংস্কৃতিক ব্যক্তিরা। তবে স্থানীয় মসজিদের ইমাম ও বাংলাদেশের ইসলামি রাজনৈতিক দলের আপত্তির মুখে মেলা চালানোর অনুমতি দেয়নি প্রশাসন।


মুক্তিধাম আশ্রম ও লালন একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা ফকির শাহ্ জালাল জি ২৪ ঘন্টাকে বলেন, প্রকাশ্যে তাঁকে-সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা লালন সাধু-গুরু-ভক্তদের হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের এখানে থাকতে দেওয়া হচ্ছে না। নাজেহাল করে ফিরে যেতে বাধ্য করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমরা তো এখানে মারামারি করার জন্য আসিনি। আমরা তো শান্তি চাই।’



 (দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)