Bangladesh Protest: বাংলাদেশের ৬ ইসলামি দলের বৈঠক ইউনূসের সঙ্গে! কী কী প্রস্তাব তারা দিল নোবেলজয়ীকে?
Leaders of Islamic Parties Met with Dr Muhammad Yunus: বাংলাদেশের ছ`টি ইসলামি দলের নেতারা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে তাঁরা বাংলাদেশ নিয়ে একাধিক প্রস্তাব দিয়েছেন। কী কী প্রস্তাব?
সেলিম রেজা | ঢাকা: 'হেফাজতে ইসলাম' ও বাংলাদেশের ছ'টি ইসলামি দলের নেতারা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে তাঁরা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীপদে এক ব্যক্তির দুই মেয়াদের বেশি না থাকার প্রস্তাব দিয়েছেন। পাশাপাশি একটা যৌক্তিক সময় নিয়ে সংস্কারগুলি করে জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন করতে বলেছেন। ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন 'যমুনা'য় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ইসলামি দলগুলির নেতাদের ওই বৈঠক হয়।
আরও পড়ুন: Horoscope Today: মেষের সন্তান-সংক্রান্ত উদ্বেগ, বৃষের দাম্পত্য-অশান্তি, মিথুনের মহৎকার্য! জেনে নিন, আজ কেমন কাটবে আপনার দিন...
বৈঠকশেষে বেরিয়ে 'হেফাজতে ইসলামে'র নেতা ও বাংলাদেশ 'খেলাফতে মজলিসে'র মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক সাংবাদিকদের জানান, বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রীপদে এক ব্যক্তি দুইবারের বেশি সময় যাতে না থাকেন, সেই প্রস্তাব তাঁরা দিয়েছেন। এ ছাড়া একটা যৌক্তিক সময় নিয়ে সংস্কারগুলি করে জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন করতে বলেছেন তাঁরা। নির্বাচনে অযথা কালবিলম্ব যেন না করা হয়, তাঁরা সেটা উল্লেখ করেছেন। মামুনুল হক জানান, বাংলাদেশের ইসলামি দলগুলির এমন প্রস্তাবে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস একমত পোষণ করে প্রয়োজনীয় সংস্কারের পর কালবিলম্ব না করে নির্বাচনের দিকে চলে যেতে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন। তিনি জানান, 'হেফাজতে ইসলাম' সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে 'বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস', 'জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ', 'নেজামে ইসলাম' ও 'খেলাফত' আন্দোলনের নেতারা বৈঠকে যোগ দেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিটি দল সংস্কার প্রস্তাব তুলে ধরেছে জানিয়ে মামুনুল হক জানান, মৌলিকভাবে যে প্রস্তাবগুলি এসেছে, তার মধ্যে অন্যতম ছিল নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার। তিনি জানান, বাংলাদেশব্যাপী সব ভোটারের প্রতিনিধিত্ব যাতে জাতীয় সংসদে নিশ্চিত করা যায়, সে ধরনের একটা মৌলিক পরিবর্তনের সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীকেন্দ্রিক ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখার যে ব্যবস্থা এবং যেখান থেকেই স্বৈরতন্ত্রের উদ্ভব, এই জায়গায় যেন ভারসাম্য তৈরি করা হয়, সেই প্রস্তাব দেওয়া হয় বলে জানান বাংলাদেশের ওই ছ'টি ইসলামি দলের নেতা।
এদিকে হাসিনা-কাণ্ড গোটা দক্ষিণ-পূ্র্ব এশিয়ার আলোচনার বিষয়ে পরিণত। এখন বিশেষ করে আলোচনা হচ্ছে হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে। বাংলাদেশ যা নিয়ে অনুরোধ করতেই পারে ভারতকে। কূটনৈতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা বলেন, এই ধরনের অনুরোধ বাংলাদেশ থেকে যে কোনও দিন আসতে পারে। হয়তো ঢাকার তরফে সেই প্রক্রিয়া শুরুও হয়েছে। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কয়েক সপ্তাহ ধরে একের পর এক মামলা রুজু হয়েছে। বাতিল হচ্ছে তাঁর কূটনৈতিক পাসপোর্টও। আর সেই প্রেক্ষিতেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি মেনে বাংলাদেশের হাতে হাসিনাকে তুলে দিতে বাধ্য হবে দিল্লি? ভারত মাথা নোয়াবে মুহাম্মদ ইউনূসদের চাপের কাছে? দেখা যাক, সময়ই বলবে।