ওয়েব ডেস্ক: বিশ্ব জোড়া প্রবল দক্ষিণপন্থার ঝড়কে থামিয়ে দিল সাবেক "লিবার্টি, ইক্যুয়ালিটি, ফ্রেটারনিটি"র ধ্বজাধারী বাস্তিল দুর্গের দেশ। ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের চূড়ান্ত পর্বে অতি দক্ষিণপন্থী মেরিন লে পেনকে হারিয়ে জয়ী হলেন ইম্যানুয়েল ম্যাক্রোঁ। দেশের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী ম্যাক্রোঁ ৬৬ শতাংশ ভোট পেয়েছেন, আর ন্যাশানাল ফ্রন্টের 'চরম রক্ষণশীল' নেত্রী লে পেনের ঝুলিতে মাত্র ৩৪ শতাংশ ভোট ভাগ।


সার্বিকভাবে অধিকাংশ জনমত সমীক্ষাতে ম্যাক্রোঁ এগিয়ে থাকলেও তলেতলে বইছিল মেরুকরণের রাজনীতির চোরাস্রোত। সাম্প্রতিক অতীতে বহুবার সন্ত্রাসবাদের নখ-দাঁত রক্তাক্ত করেছে ফরাসী ভূমিকে। প্রায় সবক্ষেত্রেই দুষ্কৃতিদের 'ধর্মীয় পরিচয়' ছিল ইসলাম। সেই প্রক্ষাপটে ঘোলা জলে মাছ ধরতে মেরুকরণের রাজনীতিতে ভরসা রেখে গোটা দেশ জুড়ে ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের প্রতি বিদ্বেষমূলক বাতাবরণ তৈরি হচ্ছিল। আর এই এই রাজনীতিরই মুখ হয়ে উঠছিলেন লে পেন। তাই পেনকে আটকাতে ফরাসী মুসলিমরা এবং অভিবাসীরা যে হাত উপুর করে সমর্থন জানাবেন 'না দক্ষিণপন্থী, না বামপন্থী' বরং উদারপন্থী ইম্যানুয়েল ম্যাক্রোঁকেই তা ছিল দিনের আলোর মতো পরিষ্কার। কিন্তু তবুও আশঙ্কা ছিল 'অঘটনের', বলছেন ম্যাক্রোঁর সমর্থকরা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগেই যেমন ডেমোক্র্যাট হিলারি ক্লিন্টনের ই-মেল ফাঁস হয়, ঠিক তেমনই ফ্রান্সেও নির্বাচনের প্রাক্কালে একই 'কায়দায়' বিতর্কিতভাবে সামনে আসে ম্যাক্রোঁর ই-মেল। পাশাপাশি, প্রকাশ্যে পুতিনের রাশিয়াও সমর্থন জানিয়েছিল লে পেনকেই, ঠিক যেমনটা হয়েছিল ট্রাম্পের ক্ষেত্রেও। কিন্তু তবুও, শেষ পর্যন্ত প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীকেই রাষ্ট্রপতির আসনে দেখতে চেয়ে উদারপন্থায় আস্থা রাখল চির রোমান্সের দেশ। নিঃশব্দ বিপ্লবের পথে চলতি হাওয়ার বিপরীতে হেঁটে এটাও কি ফরাসী বিপ্লবের বার্তাবাহী, আলোচনা বিশ্ব জুড়ে। (আরও পড়ুন- ওবামা কেয়ার থেকে 'মুক্তি', প্রথম বড় জয় ট্রাম্পের)