নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন মাহিন্দা রাজাপক্ষে। সোমবার তাঁর ছেলে নমল রাজাপক্ষে টুইটে এই খবর জানিয়ে বলেন, দেশের স্থায়িত্ব নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট। তবে, অনেকটা জলঘোলা হওয়ার পর। সে দেশের শীর্ষ আদালতের কাছে তীব্র ভর্ত্সনা হওয়ার পরই এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হলেন ‘দাপুটে’ প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপক্ষে। এমনটাই মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- প্রসাদে মিশিয়ে দেওয়া হয় কীটনাশক! কর্ণাটকে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ১১


গত ২৬ অক্টোবর রাতারাতি প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিঙ্ঘকে সরিয়ে ওই পদে রাজাপক্ষেকে বসান প্রেসিডেন্ট মৈত্রীপালা। বিতর্কের সূত্রপাত শুরু হয় সেখান থেকেই। বিক্রমাসিঙ্ঘ ইস্তফা দেওয়া তো দূর প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন থেকে না সরার কথা ঘোষণা করেন বিক্রমাসিঙ্ঘ। দেশে ‘দু-দুটি’ প্রধানমন্ত্রী হয়ে সাংবিধানিক সংকট তৈরি হয় শ্রীলঙ্কায়।  


জনগণের দ্বারা নির্বাচিত বিক্রমাসিঙ্ঘ দাবি করেন, তাঁর কাছে সরকার চালানোর মতো  সাংসদ রয়েছে। প্রেসিডেন্টের কাছে আস্থা ভোটের আর্জি জানান তিনি। কিন্তু তাতে কর্ণপাত না করেই দু’সপ্তাহ পর্যন্ত পার্লামেন্ট বরখাস্ত করে দেন সিরিসেনা। অভিযোগ, রাজাপক্ষেকে সমর্থন জোগাড়ে সময় দেওয়ার জন্যই এমন কৌশল নেন সিরিসেনা। যদিও, সমর্থন জোগাড় করতে ব্যর্থ হন রাজাপক্ষে। এরপরই পার্লামেন্ট ভেঙে অকাল নির্বাচনের পথে হাঁটেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট। তাঁর যুক্তি, আস্থা ভোটে গেলে পার্লামেন্টে অরাজকতা তৈরি হতে পারে।


আরও পড়ুন- দিল্লিতে পাক হাইকমিশন থেকে গায়েব ২৩ শিখ তীর্থযাত্রীর পাসপোর্ট


সিরিসেনার এই সিদ্ধান্ত ‘অসাংবিধানিক’ বলে তীব্র সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী বিক্রমাসিঙ্ঘ। শেষমেশ সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় বিক্রমাসিঙ্ঘের দল ইউনাইটেড ন্যাশনাল ফ্রন্ট। শীর্ষ আদালত জানিয়ে দেন, এ ভাবে পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া অসংবিধানিক। সরকার সাড়ে চার বছর মেয়াদ পূর্ণ না করা পর্যন্ত পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার অধিকার নেই শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টের। সিরিসেনার সিদ্ধান্তকে খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট।