ওয়েব ডেস্ক: বাহির দেখে বিচার করা যায় না মানুষের অন্তর কেমন! ঠিক তেমনই ছোট্ট চোখগুলো দেখে কখনই বিচার করা যায় না, আসলে সেই চোখেই ঘর বাঁধছে কত বড় স্বপ্ন! আলোর এক একটা তেজস্বী রশ্মিই অনুভব করিয়ে দেয় তার তেজ, তার অস্তিত্ব, তার অন্ধকারে পৌঁছে যাওয়ার ক্ষমতা। আসল কথাটা শিরোনামেই হয়ে গিয়েছে, এখন যেটা চলছে সেটা গৌরচন্দ্রিকা। করছি কারণ, যাকে নিয়ে গৌরচন্দ্রিকা লেখা হচ্ছে, তিনি পৃথিবীর অন্যতম প্রভাবশালী তরুণী। তিনি মালালা ইসুফজাই। সম্প্রতি আরব আমির শাহিতে অনুষ্ঠিত একটি সম্মেলনে মালালা তাঁর স্বপ্নের বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন। যে স্বপ্ন তিনি দেখেন, সেই স্বপ্ন এবার মানুষের মস্তিষ্কে ঘুরপাক খাওয়াচ্ছে নানান প্রশ্ন। মালালা পারবে? উত্তরটা জানা নেই, তবে মালালার স্বপ্নের কথা এখন বিশ্ব জানে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চায় বিশ্বের ইতিহাসে সবথেকে কম বয়সে নোবেল জয়ের নজির গড়া বিস্ময় কন্যা মালালা ইউসুফজাই।     


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রধানমন্ত্রী হতে চাওয়ার ঝক্কি কম নয়, তবে কে এই চক্রবুহ্যে ঢুকতে চাইছে, সেটাই ভাবনার মূল বিষয়। "আমি যখন দেখি মেয়েরাই রোল মডেল হচ্ছেন, তখন আমার ভাবনা যেন আরও প্রসারিত হতে শুরু করে। আমি বেনেজির ভুট্টোর মত নেত্রীকে দেখেছি। পাকিস্তানের মসনদে তাঁর কতৃত্ব স্থাপন করেছে দু দু'বার। এই উদাহরণ এবং আমার আত্মবিশ্বাস আমাকে আরও দৃঢ় প্রতিজ্ঞ করে, আমি পারব। আমি করে দেখাতে পারব। এই ভাবেই আমার স্বপ্নের স্থানন্তর ঘটল। আমি স্বপ্ন দেখতাম আমি একজন ভালো ডাক্তার হব। এখন আমি স্বপ্ন বুনছি, আমি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হব", নিজের অভিব্যক্তি এই ভাবেই জানিয়েছেন নোবেল শান্তি পদকজয়ী মালালা।  


গৌরচন্দ্রিকা যখন হয়েইছে, তবে একটা উপসংহারও বাঞ্ছনীয়। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখে নতুন পথে হাঁটতে শুরু করেছেন মালালা। সেপথ গণতন্ত্রের। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বিশ্বের মুখপত্র হওয়া মালালা সরাসরি বিশ্বাস রেখেছেন গণতন্ত্রে। এটা বুঝতেই পেরেছেন সমাজ বদলাতে হলে রাষ্ট্রক্ষমতার মাথায় চড়তে হয়, তারপরই কাঠামো ভাঙতে হয়। নিয়ম মেনে নিয়ম ভাঙার যে পথ মালালা বেছেছেন সেই একই পথে নিজের দীর্ঘ ১৬ বছরের যাত্রাপথ থেকে সরে এসে গণতন্ত্রেই আস্থা রেখেছন 'মণিপুরেরে মা' শর্মিলা চানু।