ভারত আয়োজিত নৌ মহড়ায় আসবে না মালদ্বীপ, পিছনে কি চিন?
`বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ` প্রকল্পে পরিকাঠামো ক্ষেত্রে চিনের কাছ থেকে বিপুল ঋণ গ্রহণ করেছে মালদ্বীপ, তার প্রতিদানেই আব্দুল্লা ইয়ামিনের এমন অবস্থান বলে মনে করা হচ্ছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ভারতের আহ্বানে অনুষ্ঠিত হতে চলা ১৬ দেশের নৌ মহড়ার আমন্ত্রণ গ্রহণ করল না মালদ্বীপ। তুমুল রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে থাকা দ্বীপ রাষ্ট্রটি এই সিদ্ধান্তের জন্য কোনও কারণ জানায়নি। মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট আব্দুল্লা ইয়ামিন যখন চিন ঘনিষ্ট অবস্থান নিয়েছেন, ঠিক সেই সময়ে তাঁদের এমন সিদ্ধান্তকে আতস কাচের নীচে রাখছে কূটনৈতিক মহল। উল্লেখ্য, 'বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ' প্রকল্পে পরিকাঠামো ক্ষেত্রে চিনের কাছ থেকে বিপুল ঋণ গ্রহণ করেছে মালদ্বীপ, তার প্রতিদানেই আব্দুল্লা ইয়ামিনের এমন অবস্থান বলে মনে করা হচ্ছে।
ভারতের নৌসেনা প্রধান অ্যাডমিরাল সুনীল লানবা জানিয়েছেন, ভারত মহাসাগরের তারে অবস্থিত মালদ্বীপকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু তারা এই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেনি।
আরও পড়ুন- দক্ষিণ চিন সাগরের অতলে প্রাচীর তৈরি করছে চিন
প্রসঙ্গত, প্রতি দুই বছরে একবার ইন্দো-প্যাশেফিক অঞ্চলের দেশগুলির নৌবাহিনীকে নিয়ে এমন যৌথ মহড়ার আয়োজন করে ভারত। এবারের প্রয়াসের নাম- 'মিলান ২০১৮'। এই বছর ১৬টি দেশের নৌসেনা ও উপকূল রক্ষীবাহিনীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এই মহড়ায়। আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ সংলগ্ন জলভূমিতে এই যৌথ মহড়া অনুষ্ঠিত হবে ৬ থেকে ১৩ মার্চ পর্যন্ত।
মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট আব্দুল্লা ইয়ামিন দেশে জরুরি অবস্থা জারি করলে, ভারত তা সমর্থন করেনি। অন্যদিকে, চিন সে সময় ইয়েমিনের পাশে এসে দাঁড়ায়। আর তারপরই সম্প্রতি চিনের বেল্ট অ্যান্ড রোড প্রকল্পে স্বাক্ষর করে মালদ্বীপ। এরপরই এই প্রকল্পের অধীনে পরিকাঠামো গড়ার ক্ষেত্রে মালদ্বীপের জন্য বিপুল ঋণ মঞ্জুর করে দেয় চিন। আর এর মাধ্যমেই পরোক্ষে 'ঋণ কূটনীতির ফাঁসে' আটকে পড়ে দ্বীপরাষ্ট্রটি। উল্লেখ্য, এইভাবেই চিনের কাছে 'ঋণী' হয়েছে শ্রীলঙ্কা এবং পাকিস্তানও। আর তার সুযোগ নিয়েই আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে নিজেদের ইচ্ছামতো এইসব দেশগুলিকে ব্যবহার করছে চিন, এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।