নিজস্ব প্রতিবেদন: মালদ্বীপের জরুরি অবস্থা জারি হওয়ার পর পরই ভারতের অবস্থান নিয়ে চাপানোতর তৈরি হয় আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহলে। এ বার সেই জল্পনা উস্কে দিল মালদ্বীপ সরকার। বৃহস্পতিবার, দ্বীপমালার রাষ্ট্রদূত দাবি করেছেন, মালদ্বীপের রাজনৈতিক অস্থিরতা বিষয়ে ভারতকে অবগত করতে দূত প্রেরণের পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু এই মুহূর্তে ভারত কোনও সময় দিতে পারবে না বলে জানায় ইয়ামিন সরকার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- সামনেই নির্বাচন, খালেদা-হীন বিএনপি কোন পথে এগোবে?


মালদ্বীপে জরুরি অবস্থা জারির পর পরিস্থিতি অবগত করতে চিন, পাকিস্তান ও সৌদি আরবে দূত পাঠাচ্ছে ইয়ামিন সরকার। ভারতেও দূত পাঠানোর পরিকল্পনা ছিল বলে দাবি তাদের। কিন্তু মালদ্বীপ সরকারের দাবি অনুযায়ী, বৈঠকের সময় নির্ধারণ ঠিক করতে পারেনি তারা। মালদ্বীপ রাষ্ট্রদূত বলেন,  "বিদেশমন্ত্রী (ভারত) এখন দেশের বাইরে। প্রধানমন্ত্রী (ভারত)-ও এ সপ্তাহে আরব সফরে যাচ্ছেন। আমরা এই সমস্যার কথা বুঝতে পারছি।" ইয়ামিন সরকার ইতিমধ্যেই চিনে প্রতিনিধি হিসাবে পাঠিয়েছেন অর্থ বিষয়ক মন্ত্রী মহম্মদ সইদকে। বিদেশমন্ত্রী মহম্মদ আসিমকে পাঠানো হয়েছে পাকিস্তানে। সৌদি আরবে যাবেন সে দেশের মত্স এবং কৃষি মন্ত্রী মহম্মদ শাইনি।


আরও পড়ুন- বিপর্যস্ত হানিমুন ডেস্টিনেশন, মাথায় হাত মালদ্বীপের পর্যটন ব্যবসায়ীদের


প্রসঙ্গত, চলতি সপ্তাহে  প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি মহম্মদ নাসিদ-সহ একাধিক রাজবন্দিকে মুক্তি দিতে এবং বরখাস্ত হওয়া বিরোধী মন্ত্রীদের পুনরায় বহাল করতে ইয়ামিন সরকারকে নির্দেশ দিয়েছিল সে দেশের সুপ্রিম কোর্ট। নির্দেশ মানা তো দূরাস্ত উল্টে প্রধান বিচারপতিকে গ্রেফতার করে ইয়ামিন সরকার। জারি করা হয় জরুরি অবস্থা। সেখানে ভারতকে সেনা পাঠানোর জন্য আর্জি জানিয়েছিল প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি নাসিদ। ভারতের সেনা পাঠানো নিয়ে আগাম হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে চিন। কূটনীতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, মালদ্বীপে ভারত সেনা পাঠালে, কাশ্মীর সংক্রান্তে চিন আরও সক্রিয় ভূমিকা নিতে পারে। তাই ভারত জল মেপে এগোতে চাইছে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।


আরও পড়ুন- গ্রেফতার প্রধান দেশের বিচারপতি; জারি জরুরি অবস্থা, তীব্র রাজনৈতিক সংকটে মালদ্বীপ