জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মাতৃপ্রেম না মানসিক বিকৃতি? কী বলা যায় একে! মানসিক বিকৃতি-ই বটে! সমাধি থেকে তুলে এনে মায়ের দেহকে মমি বানিয়ে বাড়ির সোফায় ১৩ বছর ধরে শুইয়ে রেখে দিয়েছিল ছেলে। শেষমেশ পুলিস গ্রেফতার করেছে ওই ছেলেকে। আর উদ্ধার করেছে মায়ের মমি। ঘটনাটি ঘটেছে পোল্যান্ডে। পুলিস ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতারের পর হাসপাতালে ভর্তি করেছে। সেখানে তাঁর চিকিত্সা করছে মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম মারিয়ান এল। মারিয়ানের ভগ্নীপতি যখন তাঁর বাড়িতে ঘুরতে আসে, তখন বাড়ির মধ্যে মমিকৃত দেহটি খুঁজে পান। ৭৬ বছর বয়সী মারিয়ানের ওই আত্মীয় চলতি বছর ২২ ফেব্রুয়ারি পোল্যান্ডের রাডলিনে মারিয়ানের বাড়িতে ঘুরতে আসেন। তখনই তিনি দেখেন যে, মারিয়ান কেমন যেন 'পাগলের মত' বাড়ির বাইরে চারপাশে ঘুরছেন। তারপরই তিনি বাড়ির ভিতর খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। আর তখনই খুঁজে পান মারিয়ানের মায়ের মমিকৃত দেহ।


তিনি দেখেন, বাড়ির  ভিতর সোফার উপর ২০০৯ সাল থেকে খবরের কাগজ ডাঁই করে রাখা। আর তার উপর রয়েছে মারিয়ানের মায়ের মমিকৃত দেহ। সঙ্গে সঙ্গেই তিনি খবর দেন পুলিসে। খবর পেয়ে রাজলিনের রোগোজিনা স্ট্রিটে মারিয়ানের বাড়িতে আসে পুলিস। তারপর পুলিস সেই মমিকৃত দেহ উদ্ধার করে। একইসঙ্গে  গ্রেফতার করে বাড়ি মালিক মারিয়ানকে। গ্রেফতারের পর তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিস। 


পুলিস মনে করছে, ২০১০ সালে মারিয়ানের মায়ের মৃত্যু হয়। তখন তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর। মমিকৃত দেহ উদ্ধারের পর পুলিস মারিয়ানের মায়ের সমাধিতেও তল্লাশি চালায়। দেখে যে, সেই সমাধি ফাঁকা। তাতেই নিশ্চিত হয় যে, মমিকৃত দেহটি মারিয়ানের মায়ের। মারিয়ান মায়ের দেহ সমাধি দেওয়ার পর পরই সেখান থেকে থেকে তুলে আনেন। বাড়িতে নিয়ে এসে দেহে রাসায়নিক মাখিয়ে রাখেন। মমিকৃত দেহতে যাতে পচন না ধরে, সেইজন্য মাঝে মাঝেই রাসায়নিক মাখাতেন তিনি। সমাধি থেকে দেহ তুলে আনার মত অপরাধ করায়, এই ঘটনায় মারিয়ানের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ দায়ের হয়েছে। 


আরও পড়ুন, National Anthem Case: জাতীয় সংগীত অবমাননা মামলা, মমতাকে কোনও ছাড় দিতে নারাজ হাইকোর্ট!



(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)